গাজীপুর প্রতিবেদক
গাজীপুরের কালীগঞ্জে পূর্বশত্রুতার জেরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে উভয়পক্ষের তিনজন আহত এবং ১৫-১৬টি যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার রাতে উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের বড়কাউ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় পাল্টাপাল্টি মামলায় হয়েছে। চেয়ারম্যানের ভাইয়ের মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার রাত ৭টার দিকে বড়কাউ বাজারে প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কাদিরের সমর্থক মোফাজ্জল হোসেন ও তার বড় ভাই মাসুদ মিয়া দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় জমিসংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জেরে নাগরী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান অলিউল ইসলাম ও তার ছোট ভাই আলীউল ইসলাম ১০-১২ জন সহযোগী নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। তারা দুই ভাইকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। দুই ভাইকে মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে রাত সাড়ে ৭টার দিকে চেয়ারম্যানের লোকজন ও তাদের বহনকারী যানবাহনে হামলা এবং ভাংচুর চালায়। খবর পেয়ে রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহত মাসুদ মিয়া জানান, চেয়ারম্যান অলিউল্লার সাথে তাদের জমি কেনা-বেচা সংক্রান্ত লেনদেন রয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও তিনি টাকা পরিশোধ না করে ঘুরাতে থাকেন। এ নিয়ে কয়েকবার কথা কাটাকাটি হয়। সোমবার বিকালে হঠাৎ চেয়ারম্যান ও তার ভাই সহযোগীদের নিয়ে তাদের দুই ভাইয়ের উপর করে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান অলিউল ইসলাম অলি বলেন, নির্বাচনের পর থেকে একটি গ্রুপ তাকে মারার জন্য সক্রিয় ছিল। সোমবার তারা পরিকল্পিতভাবে তার ও তার লোকজনের উপর হামলা ও যানবাহন ভাংচুর করা হয়। এতে তার ছোট ভাই আলীউল ইসলাম আহত হয়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাকসুর সাবেক ভিপি আখতারউজ্জামান বলেন, জমি বিক্রি সংক্রান্ত লেনদেন, পারিবারিক বিরোধ এবং পূর্বশত্রুতার জেরে যেসব ঘটনা ঘটছে তা একটি মহল নৌকা ও ট্রাক প্রতিকের কর্মীদের বিরোধ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। পুলিশকে নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালনের আহবান জানানো হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহতাব উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় চেয়ারম্যান অলির ছোট ভাই আলীউল ইসলাম এবং অপর পক্ষের আহত মো. মোফাজ্জল হোসেন বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আলীউল ইসলামের মামলার অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।