একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নিজস্ব প্রতিবেদক
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঢল নেমেছে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের। বুধবার ভোর থেকে ফুল ও ফুলের তোড়া হাতে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসতে থাকেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাবে ভিড়। সকালে শহীদ মিনার থেকে পলাশী পর্যন্ত রাস্তা বিস্তৃত হয় শ্রদ্ধা জানাতে আসা শিশু-কিশোর থেকে সকল বয়সী মানুষের লাইন। খালি পায়ে বুকে কালো ব্যাজ পরে প্রভাতফেরী করে ধীর পায়ে শহীদ মিনারের দিকে এগোতে দেখা যায় তাদের।
এর আগে একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান সরকার উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার উদ্যোগ নিলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সর্বস্তরের মানুষ প্রতিবাদ জানায়। গড়ে উঠে আন্দোলন। ১৯৫২ সালের এই দিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ও যুবসমাজ এবং সর্বস্তরের মানুষ ওই সময়ের শাসক গোষ্ঠির জেল-জুলুম ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) একুশের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ২১ ফেব্রæয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে। তারপর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে।