শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন
গাজীপুর প্রতিবেদক
নির্বাচন কমিশনের প্রার্থীরা বাতিলের পরও গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হাসান দুর্জয়ের প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার দুর্জয় নিজে এবং তার কর্মী সমর্থকরা বিভিন্ন এলাকায় ঘোড়া প্রতীকের সমর্থনে প্রচারনা চালিয়েরেছন। এ সময় প্রচারযন্ত্রও ব্যবহার করা হয়।
শুক্রবার সকাল থেকেই ঘোড়া প্রতীকের প্রতীকের সমর্থনে মাওনা উত্তরপাড়া এলাকায় কর্মী সমর্থক নিয়ে প্রচারনা চালান মাওনা ইউপির ১নং ওয়ার্ড সদস্য শামীম মৃধা। তিনি বলেন, প্রচারনা বন্ধের বিষয়ে তৃণমূলে কোন নির্দেশনা আসেনি। তাই তারা প্রচার চালাচ্ছেন। প্রার্থীতা ফিরে পেতে জামিল হাসান দুর্জয় উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। আগামী রবিবার আপিলের শুনানী হওয়ার কথা রয়েছে। তাদের বিশ্বাস আগামী রবিারার প্রার্থীতা ফিরে পাবেন দুর্জয়া।
এদিকে শুক্রবার শ্রীপুরে জম্মার নামাজ আদায় করেন জামিল হাসান দুর্জয়। নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে মুসল্লীদের মাঝে নিজের লিফলেট বিতরন করে ঘোড়া মার্কায় ভোট চান।
দুর্জয়ের প্রতিদ্ব›দ্বী আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল জলিল বলেন, প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় দুর্জয় আর প্রার্থী নন। তারপরও বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার তার কর্মীরা উপজেলার সবর্ত্র প্রচারণা অব্যাহত রেখে ভোট প্রার্থনা করছেন। বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তও করছেন প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকরা।
এ বিষয়ে জামিল হোসেন দূর্জয়ের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন রাংসা বলেন, বাতিলকৃত প্রার্থীর প্রচারনা চালানোর কোন সুযেগ নেই। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে তার প্রচারনা বন্ধের জন্য বলা হয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি যারা ভঙ্গ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভ্রাম্যমান আদালত মাঠে রয়েছে।
উল্লেখ্য, একের পর এক নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে গত বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে দুর্জয়কে তলাব করা হয়। তার উপস্থিতিতে শুনানি শেষে প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।
বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত স্থগিত চেয়ে প্রার্থীতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে আবেদন করেন জামিল হাসান দুর্জয়। তিনি গাজীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী টুসির বড় ভাই।