৮ দফা দাবিতে ব্রি জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারি-কর্মকর্তা
ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন
গাজীপুর প্রতিনিধি
৮ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারি-কর্মকর্তা ঐক্য পরিষদ। ব্রি’তে অনুমোতি না পেয়ে সোমবার দুপুরে শহরের একটি বেসরকারী অফিসে ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের আহবায়ক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন ভূইয়া বলেন, বিগত ১৫ বছরে শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে ব্রি’র চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা কর্মচারীদের আত্মীকরণ, ৯ শ্রমিকের ১৫ বছরের বকেয়া বেতন এবং ১৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বকেয়া বেতন-ভাতাসহ ৮ দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য তারা আন্দোলন করে আসছেন। উচ্চ আদালত এবং মন্ত্রনালয়ের লিখিত নির্দেশ থাকার পরও এসব দাবি বিগত ডিজিরা কর্যকর করেননি। ৫ আগষ্ট স্বৈরাচার হাসিনার পতনের পর নতুন ডিজির কাছেও তারা এসব দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তিনিও আওয়ামী দোসর ডিজিদের মতই আচরন করছেন। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রি জাতীয়তাবাদী শ্রমিক-কর্মচারি-কর্মকর্তা ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ রমজান আলী, আলফাজ উদ্দিন, বিএনপি নেতা আহম আলী রুশদী, মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব মাহমুদ হাসান রাজুসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তোফাজ্জল ভূইয়া আরো বলেন, সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর জাতীয়তাবাদি বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকদের গণবদলী, চাকুরিচ্যুতি, জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের অন্যায় সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন। তিনি নিয়মিত ৯শ্রমিকসহ প্রায় ৫৫ শ্রমিককে চাকুরিচ্যুত করেন। ব্রি বোর্ড অব ম্যানেজমেন্ট কর্তৃক অনুমোদিত বদলী নীতিমালা লঙ্ঘন করে ৫০ জনকে তৎক্ষণিক বদলি করেন। ৩০ বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সরাসরি পদোন্নতি বঞ্চিত করেন। ২’শর শতাধিক পদে অর্থের বিনিময়ে দলীয় লোকদের নিয়োগ দেন। তারা এখনো গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল থেকে নানা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। নিয়োগের পাশাপশি তার টেন্ডার, প্রকল্প ও বিদেশ ভ্রমনে ব্যাপক দুর্নীতির প্রমাণ রয়েছে।