গ্রেপ্তার ঋত্বিক সাহা
গাজীপুর প্রতিবেদক
গাজীপুরে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিয়ে বিচ্ছেদের ৮ দিন পর প্রাক্তন স্বামী ঋত্বিক সাহার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করার অভিযোগ উঠেছে এক তরুণীর বিরুদ্ধে। মুসলিম ওই তরুণীর (১৯) বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর থানার তরা গ্রামে।
মামলার পর নগরীর পূবাইল থানার পুলিশ ঋত্বিক সাহাকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে। তিনি পুবাইলের সাতানিপাড়ার রাজু সাহার ছেলে।
ঋত্বিক সাহার বাবা রাজু সাহা বলেন, ঋত্বিক সাহা চাচার বিয়েতে ঘিওরের তরা গ্রামের গেলে পরিচয় হয় ওই তরুনীর সাথে। মোবাইলে কথা বলতে বলতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি তরুণী গাজীপুর আদালতে হলফনামা করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন। ওইদিনই একটি মন্দিরে হিন্দুরীতিতে বিয়ে করে অপর হলফনামা দিয়ে ঋত্বিককে স্বামী হিসেবে ঘোষণা দেয়। বিয়ের হলফনামায় স্বাক্ষী ছিলেন তরুণীর মুসলিম বাবা। গত রোজার ঈদে তরুণী বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে পরিবারের সদস্যরা তাকে পুনরায় মুসলিম ধর্মে ধর্মান্তরিত করেন এবং ঋত্বিক সাহার কাছে ফিরতে বাধা দেয়। কিন্তু তিনি পালিয়ে স্বামীর বাড়ি পূবাইলে চলে আসে। পরবর্তীতে তরুণী হিন্দু রীতি মেনে না চলায় তাদের মধ্যে মতনৈক্য দেখা দেয়। গত ৪ মে ঋত্বিক ও তরূনীর বাবা-মা ও স্বজনদের উপস্থিতিতে সাতানিপাড়া মাঠে এলাকার মুরুব্বিদের উপস্থিতিতে শালিসের মাধ্যমে লিখিতভাবে তাদের মধ্যে বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। শালিসের রায়ে ঋত্বিকের পরিবার তরুণীর খোরপোষ বাবদ আড়াই লাখ টাকা দেয়। বিচ্ছেদের ৮ দিন পর তরুণী বাদি হয়ে পূবাইল থানায় এসে সাবেক স্বামী ঋত্বিক সাহার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলার পর পুলিশ ঋত্বিক সাহাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। বর্তমানে তিনি জেল হাজতে রয়েছে। মামলার এজাহারে শুধুমাত্র ঋত্বিকের নাম থাকলেও থানা-পুলিশ তাদের পুরো পরিবারকে হয়রানী করছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের মাধ্যমে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জন্য তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
