গাজীপুর প্রতিবেদক
গাজীপুরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এক নারী ইউপি সদস্য মর্জিনা বেগমকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার জয়দেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই নারী সদস্য। অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান খান হাবিব গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
তাঁর বিরুদ্ধে এলাকার বিলে বাঁধ দিয়ে চিলনী, কুমুন ও রোসাদিয়া গ্রামের হিন্দু-মুসলিম পরিবারের প্রায় ১২’শ বিঘা জমি জোরপূর্বক দখল করে মাছের খামার তৈরির অভিযোগ রয়েছে।
লিখিত অভিযোগে সদস্য মর্জিনা বেগম উল্লেখ বলেন, বিজিএফ চালের কার্ড দেয়ার কথা বলে এক বছর আগে পরিষদের প্রত্যেক মেম্বারকে ২০ জন দরিদ্র নারীর নাম জমা দিতে বলেন চেয়ারম্যান হাবিব। তিনি নির্বাচনী এলাকার তিনটি ওয়ার্ড থেকে ২০ জন অসহায় হতদরিদ্র নারীর নামের তালিকা, ছবি ও এনআইডি কার্ডের ফটোকপি চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেন। তালিকা মোতাবেক মন্ত্রনালয় হতে কার্ডের অনুমতি পরিষদে আসে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর কার্ডধারীদেরকে চাল বিতরনের কথা ছিল। তালিকা অনুযায়ী সব সদস্যদের ২০ জনকে চাল দেওয়া হয়। মর্জিনা বেগমের তালিকার ২০ জনের মধ্যে মাত্র ১৩ জনকে চাল দেওয়া হয়। বাকী ৭ জনের কার্ড হয়নি বলে জানায় পরিষদের সচিব। কারন জানতে চাইলে চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খান ক্ষীপ্ত হয়ে লোক দিয়ে ডেকে তাকে ইউনিয়ন পরিষদের দোতালায় নিয়ে যায়। সেখানে অশ্লীল ভাষায় গালীগালাজ করে এবং পরিষদ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। খারাপ আচরনের প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান নারী সদস্যকে চর থাপ্পর দিয়ে জনসম্মুখে অপমান অপদস্ত ও লাঞ্ছিত করে পরিষদ থেকে জোরপূর্বক তাড়িয়ে দেয়। পূনরায় পরিষদে গেলে তাকে হত্যা করবে বলে হুমকী দেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় তিনি জয়বেপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
চেয়াম্যান হাবিবুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টো ওই নারী সদস্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন।
জয়বেপুর থানার ওসি তৌহিদ আহমেদ জানান নারী সদস্যের অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।




