গাজীপুর প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানার তিনটি হত্যা মামলায় শেখ হাসিনা সরকারের সাবেক ৪ মন্ত্রী, এক সেনা কর্মকর্তা এবং ব্যাংক মালিকসহ ৬জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুর চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ হাজির করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ। শুনানী শেষে বিচারক মো. ওমর হায়দার আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে আসামিদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামীরা হলেন, সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এনটিএমসির সাবেক প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান এবং এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার। আদালত থেকে বের করে নেওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ জনতা আসামীদের লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ এবং বিএনপিপন্থী আইনজীবী বিক্ষোভ করে।
গাজীপুর মহানগর কোর্ট পরিদর্শক আসানউল্লাহ চৌধুরী জানান, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ২০ জুলাই গাছা থানার জয়বাংলা সড়কের মাথায় বেলা ১২ টার দিকে মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত কলেজ ছাত্র মিনহাজ হোসেন (১৬) নিহত হয়। এ নিহতের চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদি হয়ে মামলা করেন। ওইদিন রাত ৯টার দিকে ভুষিরমিল এলাকায় মিছিলে গুলিতে নিহত হন ছাত্র মো. হুমায়ুন কবির (২৭)। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই হযরত আলী বাদি হয়ে গত ৯ আগষ্ট মামলা করেন। একই দিন বেলা দুইটার দিকে বোর্ডবাজারের কালাইমার্কেটের বেলমন্ড টেইলার্সের সামনে গুলিতে নিহত হয় ছাত্র মো. রায়হান (১৮)। এ ঘটনায় তার বাবা মামুন সর্দার গত ৫ অক্টোবর গাছা থানায় মামলা করেন। এ সসব মামলার এজাহারে ওই ৬ জনের নাম রয়েছে। গাছা থানার পুলিশ ওই তিন মামলায় আসামিদের আদালতে হাজির করে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে। সকালে তাদের আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিকে আসামিদের আদালতে হাজির করার আগে পরে আদালতপাড়ায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। পৃথক দুইটি প্রিজনভ্যানে করে আসামিদের কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। জ্যাকেট ও হেলমেট পরিয়ে তাদের আদালতের এজলাসে তোলা হয়। শুনানি শেষে ডা. দীপু মনি, জুনাইদ আহমেদ পলক ও সাধন চন্দ্র মজুমদারকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে এবং অন্যদের আসামিদের ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।