শ্রীপুরের সাব-রেজিষ্টারের ঘুষ-দূর্নীতির প্রতিবাদে
দলিল লেখকদের ধর্মঘট অব্যাহত
গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরের সাব-রেজিষ্টার মো. সোহেল রানার বিরুদ্ধে ঘুষ-দুর্নীতি ও হয়রানীর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট অব্যাহত রেখেছে দলিল লেখক ও স্ট্যাম্প ভেন্ডার সমিতি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জমি ক্রেতা-বিক্রেতারা।
শ্রীপুর দলিল লেখক সমিতির সিনিয়র সদস্য মো. বেলাল হোসেন ও মো. এমদাদ মন্ডল অভিযোগ করেন, সাব-রেজিষ্টার মো. সোহেল রানা গত ফেব্রæয়ারি মাসে যোগ দেন। এরপর তিনি ঘুষ দূর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও চাহিদা মাফিক ঘুষ না দিলে দলিল করেন না। সরকারী ফির বাইরে প্রতি জমির মুল্যের উপর প্রতি লাখে ২ হাজার টাকা করে ঘুষ নেন ওই সাব-রেজিষ্টার। হেবা দলিল, বন্টননামা দলিল ও পাওয়ারনামা দলিলের ফি নামেমাত্র হলেও মোটা অংকের টাকা নেন সাব-রেজিষ্টার। তাঁঁর ঘুষ-দুর্নীতির কারণে ক্রেতা-বিক্রেতারা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন। এসব জানিয়ে জেলা রেজিষ্টার ও নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। বাধ্য হয়ে তারা বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ঘর্মঘট শুরু করেছেন। ধর্মঘট চলাকালে কোন দলিল রেজিষ্ট্রি করবেন না তারা। এর আগেই তার অনিয়মের প্রতিবাদে গত দুই দফা ধর্মঘট করেন। ‘আর অনিয়ম করবেন না’ প্রতিজ্ঞা করলেও কিছুদিন পর ফের ঘুষ-দুর্নীতিতে জড়াচ্ছেন তিনি।
দলিল লেখক, মো. জাকারিয়া মোড়ল অভিযোগ করেন, সাব-রেজিষ্টার একটি বন্দকী দলিল রেজিষ্ট্রির জন্য তার কাছে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় এখনো দলিল রেজিষ্ট্রি হয়নি। বিষয়টি তিনি জেলা রেজিষ্টার ও নিবন্ধন মহাপরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একই রকম অভিযোগ করেন একাধিক দলিল লেখক।
এ বিষয়ে সাব-রেজিষ্টার মো. সোহেল রানা বলেন, দলিল লেখকদের একাংশ ধর্মঘট করছে। বৃহস্পতিবার ১০-১২টি দলিল রেজিষ্ট্রি হয়েছে। তবে তা স্বাভাবিকের তুলনায় কম। কতিপয় দলিল লেখক অনৈতিক সুবিধা দাবি করেছিল। দাবি মেনে না নেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।