গাজীপুর প্রতিবেদক
গাজীপুরের পূর্বাইলে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে জুলেখা আক্তার রুনা নামে এক কলেজ ছাত্রীকে জেলহাজতে পাঠিয়ে তার পরিবারের সদস্যকে মেরে ফেলার হুমকী দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার। শনিবার দুপুরে পুবাইলের মাজুখান এলাকায় নিজ বাড়িতে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রীর বড় ভাই সজল সিকদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার বোন জুলেখা আক্তার রুনা (২০) উত্তরা টাউন কলেজের শিক্ষার্থী। পড়ালেখার পাশাপাশি তিনি পূবাইলের মাজুখান অবস্থিত প্রসাধনী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বিউটি প্রডাক্টস বিডি লিমিটেডে ৫ বছর যাবত চাকুরী করে আসছিলেন। ৬ মাস পূর্বে প্রতিষ্ঠানের মালিক রেজাউল করিম (৩৬) তার বোনকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিয়ে হয়রানী করে আসছিলেন। টিকতে না পেরে সম্মান রক্ষার্থে চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন র। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক ও তার স্ত্রীর অনুরোধে পূনরায় চাকরিতে যোগ দেন। কিছুদিন পর থেকে তিনি আবারও রুনাকে কু-প্রস্তাব দেয়া শুরু করেন। রাজি না হলে ক্ষতি করার ভয়ভীতি ও হুমকী প্রদান করেন। গত ১৬ আগস্ট দুপুরের বাসায় চলে আসে তার বোন কান্নাকাটি শুরু করেন।
তিনি আরো বলেন, ওইদন সন্ধ্যায় বোনের সহকর্মী মো. রুবেল প্রতিষ্ঠানের মালিক রেজাউল করিম, কর্মচারী রায়হানসহ অজ্ঞাত আরো ২/৩ জন তাদের বাসায় এসে বোনের ব্যাবহৃত মোবাইল ফোনসহ আমার বোন ও মাকে পূবাইল থানায় নিয়ে গিয়ে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ করেন। বিষয়টি নিয়ে থানার ওসি, স্থানীয় সাবেক কাউন্সলর ও এলাকার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত সমাধানের সময় দেওয়া হয়। ১৯ আগস্ট বিকেলে ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তার বোন রুনাকে থানায় ডেকে নিয়ে যায় পুলিশ। ২০ আগস্ট তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে ২১ আগষ্ট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিউটি প্রডাক্টস বিডির মালিক মো: রেজাউল করিম বলেন, অভিযুক্ত রুনা তার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত অবস্থায় বিকাশ লেনদেনের মাধ্যমে যে পরিমান টাকা আত্মসাৎ করেছে তা দেখে তিনি নিজেও বিস্মিত। পরবর্তীতে সকল তথ্য-প্রমাণ নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছেন।
এ বিষয়ে পূর্বাইল থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, আসামি রুনা তার মায়ের যোগসাজসে বাদীর মোটা অংকের টাকা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন। মামলার ভিত্তিতে রুনাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর আসামি তার মাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।