গেল শনিবার (৭-জানুয়ারি) গাজীপুরের কোনাবাড়ি বাঘিয়া উচ্চ বিদ্যালয়র মাঠে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ফাইনাল ফুটবল টুর্নামেন্টে এসব কথা বলেন তিনি।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে শেখ মোঃ আক্কাছ আলী শেখ মোঃ আসাদুল্লাহকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তুই (আসাদুল্লাহ) আওয়ামী লীগের সম্মান কি জানিস না, তুই রাজাকারের সম্মান জানিস, আমি এই বাঘিয়া মাঠে বলে গেলাম তুই আসাদুল্লাহ রাজাকারের পুত্র, তুই আওয়ামী লীগের শত্রু।
তিনি বলেন, তুই আজকে খেলার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিকে আসতে নিষেধ করেছিস, তোর মত আসাদুল্লাহ এদেশে আওয়ামী লীগ করে কি করে ? তুই আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য এসেছিস তাই ইনশাল্লাহ আমরা প্রমান করে দেব যে তুই রাজাকারের পুত্র।
আক্কাছ বলেন, তুই আওয়ামী লীগের নয় আজকের এই তরুণ সংঘের খেলায় প্রমান করে দিলি যে তুই রাজাকারের পুত্র।
ওই নেতা বলেন, আমি স্পষ্ট ভাষায় বলে দিলাম তুই আওয়ামী লীগের নয়, তুই রাজাকারের পুত্র।
বঙ্গবন্ধুর নামে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথাছিল গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ আফজাল হোসেন সরকার রিপন।
তুই তাকে ফোন করে আসতে নিষেধ করেছিস তাই প্রমান করে যে তুই রাজাকারের পুত্র।
শেখ আক্কাছ ঢাকামেইল টুয়েন্টি ফোর ডটকমকে বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুল্লাহ ১৯৯১ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্তও ছিল সক্রিয় বিএনপির একজন কর্মী এবং গাজীপুর সদর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলে।
তিনি বলেন, আসাদুল্লাহ চেয়ারম্যানের বাবা ছিলেন, একজন রাজাকার। তার বাবা নসিমউদ্দিন ছিলেন শান্তি কমিটির সদস্য।
এছাড়াও পাকিস্তানের আমলে আসাদুল্লাহর বাবা কাশিমপুর ইউনিয়ন পরিষদে চকিদার ছিল। পরে কোনাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদেরও চকিদারের চাকুরী করেছে।
আওয়ামী লীগের ওই নেতা আরো বলেন, কোনাবাড়িতে রাজাকারের তালিকা হলে আসাদুল্লাহর বাবা নসিম উদ্দিন, বাঘিয়ার বসু সরকার ও তনুরউদ্দিন যুদ্ধ অপরাধের মামলার আসামি হতো। তারা পাকিস্তান আমলে শান্তি কমিটির সদস্য ছিল।
মুক্তিযোদ্ধারা আসাদুল্লাহর বাবাকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। পরে বাঘিয়ার আব্দুল মালেক সরকারের চাচা আইজুদ্দিন টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছিল।
Leave a Reply