আটককৃতরা হলো, মোঃ আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে মোঃ আশিক বেপারী (২৩), মোঃ রতন মিয়ার ছেলে মোঃ টুটুল মিয়া (২৭), মোঃ আব্দুল রাজ্জাক মিয়ার ছেলে মোঃ রাজীব মিয়া (৩০) ও মোঃ মাসুদ রানা (২৫)। তাঁরা সবাই আমবাগ পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা।
এ ঘটনায় (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানায় ভুক্তভোগী মোঃ শরিফ মিয়া মামলা দায়ের করেছেন।
এজাহার সূত্র জানায়, গেল-২২ জানুয়ারি রাত ১টার দিকে কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ পশ্চিমপাড়া মোঃ সিদ্দিক মিয়ার টিনসেড বাদীর ভাড়াকৃত মিনি তৈরি পোষাক কারখানায় চুরির ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, চোরেরা কারখানার ভিতরে প্রবেশ করে তালা ভেঙে বিভিন্ন সাইজের শিশুদের জন্য তৈরি গোলগলা ও হাফহাতা ছয় হাজার পিস গেঞ্জিসহ এক বস্তা সুতা চুরি হয়।
এ ঘটনায় কারখানা কর্তৃপক্ষ শরিফ মিযা অচেনা এবং নাম না জানা চোরদের বিরুদ্ধে কোনাবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে চুরি যাওয়া তিন হাজার দুইশত পিস গেঞ্জি উদ্ধার করা সহ চার চোরকে গ্রেফতার করে।
কোনাবাড়ি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ফোরকান মোল্লা জানান, বাদীর অভিযোগ পেয়ে নগরীর আমাবাগ এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চুরি যাওয়া মালামাল কিছু উদ্ধার করে চার চোরকে গ্রেফতার করে বুধবারে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই চার চোরের রিমান্ড চাওয়া হলে একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
স্থানীয়দের অভিযোগঃ নগরীর ১০নং ওয়ার্ড আমবাগ পশ্চিমপাড়ার স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, আব্দুল রাজ্জাক মিয়ার দুই ছেলে রাজিব ও সজিব এদের অত্যাচারে তাঁরা অতিষ্ঠি হয়ে পড়েছে।
তাঁরা জানায়, রাজিব ও সবিজ দুই ভাইয়ের কোনো কাজকর্ম করে না, দামী দামী মোটরবাইক চালায় আর সারা রাত অন্যায় করে বেড়ায়।ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরণের অপরাধ মূলক কর্মকান্ড করে আসছে।
এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি, আরেকজনের মোবাইল নিয়ে আরেকজনের কাছে বিক্রি করা, ভয় দেখিয়ে বহিরাগতদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করাই তাঁদের পেশা।
তাঁরা দুই ভাই পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া লাগিয়ে ভাড়াটিয়াদের মারপিটসহ নানা ধরণের জুলুম অত্যাচার করে ।
জানা গেছে, রাজিবের নামে নারী ও শিশু নির্যাতনের মত ভয়ঙ্কর অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসি আরো বলেন, রাজ্জাকের এই দুই ছেলে চরম বেয়াদব, কারো কথা শুনে না দুই-চারটি পুলিশ অফিসার না কি তাঁদের পকেটে থাকে।তাঁরা নিজের বাবা-মাকেও মারপিট করে এই জুলুমকারীরা । রাতে ঘুমায় না তাঁরা, সারা রাত চাঁদাবাজি অন্যায় করে বেড়ায়।তাই এলাকাবাসির দাবী প্রশাসনের যেন বিষয়টি দৃষ্টি দেয়।
Leave a Reply