প্রশাসন এর নগ্ন হস্তক্ষেপে শার্শায় আওয়ামীলীগের সমাবেশ পন্ড
বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
জামাত বিএনপির নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্নক রাজনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ন সমাবেশে পুলিশের নগ্ন হস্তক্ষেপ পন্ড হয়ে যায়। স্থানীয় সুত্র মতে যশোর-৮৫ (শার্শা-১) আসনের সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিনের ব্যক্তিগত রোসানলের কারনে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক বেনাপোল পৌর মেয়র আশারফুল আলম লিটন কর্তৃক ডাকা সমাবেশে স্থানীয় জনতার ব্যপক উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা থাকায় স্থানীয় সাংসদ সদস্যর অনুসারিরা আকস্মিক ভাবে পাল্টা একটি সমাবেবেশ এর আহবান করলে উক্ত পরিস্থিতীতিতে এডিশনাল এসপি হেলাল উদ্দিন এর নেতৃত্বে শার্শা ও পোর্ট থানা পুলিশ এবং যশোর ডিবি পুলিশ ও রিজার্ভ ফোর্সের ব্যপক সংখ্যক পুলিশ উক্ত স্থানে উপস্থিত হয়ে সমাবেশ নিশেধাজ্ঞা জারি করে।
রোববার বেলা ৩ টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালী ইউনিয়নের বালুন্ডা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জামাত বিএনপির নৈরাজ্য ও ধ্বংসাত্নক রাজনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ন সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও উদ্ভুত পরিস্থিতীর কারনে সমাবেশ স্থগিত হয়ে যায় ।
স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দের সুত্র মতে জানা যায় যে, গত ৫ দিন আগে যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন থানার বালুন্ডা বাজারে শান্তিপূর্ন সমাবেশের জন্য এলাকায় প্রচার করে। সমাবেশের আগের দিন রাত ৯ টার পর সাংসদ এর অনুসারিরা উক্ত স্থানে পাল্টা সমাবেশের ডাক দেয়। উক্ত সমাবেশ স্থলে আশরাফুল আলম লিটন এর অনুসারিরা সভামঞ্চ নেতা কর্মীদের জন্য আসন ও মধ্যাহৃ ভোজের আয়োজন করে। এমন সময় বেলা ১২ টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানা ওসি ও শার্শা উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ( সহকারী ভুমি) সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়। তখন তাদের উপস্থিতিতে সাংসদ অনুসারীরা সেখানে উপস্থিত হয়ে মাঠের এক কোনে অস্থায়ী সভামঞ্চ তৈরী করে। এমতবস্থায় সাংঘর্ষিক কোন পরিস্থিতী যাতে সৃষ্টি না হয় এই অজুহাত দেখিয়ে স্থানীয় প্রশাসন সমাবেশ স্থলে নাটকীয় ভাবে সভা স্থলে নিশেধাজ্ঞা জারি করে। যদিও তারা ইচ্ছা করলে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে পারত। তা না করে কোন এক অজানা কারনে সমাবেশ নিশেধাজ্ঞা জারী করে।
বালুন্ডা বাজার থেকে ফি্ের এসে আশরাফুল আলম লিটন বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে বিকাল ৫ টার সময় উপস্থিত নেতা কর্মীদের উপস্থিতীতে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বলেন অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় এই ১৪ টি বছর শার্শা উপজেলার শীর্ষ নেতা সাংসদ সদস্য আমাদের ১৫ ই আগষ্ট পালন করতে দেয় না। এই শহরের ডেকারেটর ও মাইক আমাকে না দেওয়ার জন্য তাদের নিশেধ করে দেয়। আমি যশোর ঝিকগাছা থেকে মাইক ও সাউন্ড এনে জাতির জনকের ১৫ আগষ্ট পালন করি। আজ রাজনৈতিক হিসাবে দেওলিয়া হয়ে সে এসব অপকর্ম করছে। এই শার্শার মাটিতে ৭২ জন নেতা কর্মীর হত্যা কান্ড হয়েছে। এদের মধ্যে আওয়ামীলীগ কর্মী, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও চেয়ারম্যান হত্যা হয়েছে। প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডর মামলায় সে হস্তক্ষেপ করে নষ্ট করে দিয়েছে। হত্যাকরিদের পক্ষ নিয়ে সে সকল মামলা দুর্বল করেছে। এই লোক আওয়ামীলীগ প্রেমী হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের যে আদর্শ সে আদর্শ ১৯৭৫ এর পর ভলুন্ঠিত হয়েছে। সেই আদর্শ জাতির জনকের কন্যা ফিরে নিয়ে এসে অত্যান্ত দৃড়তার সাথে রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছে। কিন্তু আজও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। বিভিন্ন ভাবে যে ষড়যন্ত্র চলছে তা সকলের দায়িত্ব নিয়ে মোকাবেলা করে আমাদের আবারও নৌকাকে ভোট দিয়ে জাতির জনকের কন্যাকে প্রধান মন্ত্রী করতে হবে। আজ বালুন্ডা বাজারে শান্তি সমাবেশে বাধা দিয়ে ৫ হাজার লোকের তৈরী খাবার তিনি নষ্ট করেছে। তিনি রাজনৈতিক ভাবে একজন ছোট্র মানুষ । তানা হলে আওয়ামীলীগের এই শান্তি সমাবেশে বাধা দিয়ে সমাবেশে আসার উদ্দেশ্য মানুষকে পুলিশ দিয়ে পথে পথে বাধা সৃষ্টি করে খাবার খেতে দেয়নি। তারা দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্য শুনতে সমাবেশে আসতে চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ দিয়ে নাটকীয়ভাবে বাধা দিয়ে যে কলঙ্ক লেপন করেছেন তা অত্যান্ত ঘৃনিত। ভাই হারানো ভাই আজ শার্শার মাটিতে বিচার পায় না। বাবা তার সন্তান হারানোর বিচার পায় না। শুধূ ওই অত্যাচারীর জন্য। আজ সে পুলিশ ও সন্ত্রাশের উপর দাঁড়িয়ে আছে। আজ তার কারনে এই বন্দরে বিএনপির ব্যবসায়িরা সুষ্ঠু ভাবে ব্যবসা করছে অথচ আওয়ামীলীগের ব্যবসায়িরা পদে পদে বাধা পাচ্ছে।
এসময় লিটন আরো বলেন, আসেন ভালবাসার প্রতিযোগিতায় রাজনীতি করি। এই মানুষ সহ আমি ও আপনার সাথে ছিলাম। আজ আপনার আঘাতে জর্জরিত হয়ে প্রতিটি মানুষ আপনার থেকে আমার কাছে চলে এসেছে। আপনি পারলে আঘাত নয় তাদের ভালবাসা দিয়ে নিয়ে যান। আজ যে হাজার হাজার মানুষ তাদের রান্না করা খাবার খেতে পারে নাই। এটা সাক্ষি হয়ে থাকবে। আজ পুলিশ প্রশাসন যে কাজ করেছে তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে রইল। মানুষের আস্থা এই কারনে পুলিশের উপর থেকে চলে যায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আহসান উল্লাহ মাষ্টার, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম,বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ সারোয়ার, বেনাপোল পৌর সভার সাবেক প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রুহুল কুদ্দুস ভুইয়া, বেনাপোল ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা সাহেব আলী সহ যুবলীগ ছাত্রলীগ সহ আওয়ামীলীগের সকল অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মীরা।
Leave a Reply