গাজীপুরে ইউএনও’র সামনে সাংবাদিকদের উপর হামলা
গাজীপুর সংবাদদাতা: গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়নের রোসাদিয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সামনে সাংবাদিকদের উপর হামলা করা হয়েছে। গেল বৃহস্পতিবারে উপজেলার রোসাদিয়া এলাকায় একটি বিরোধপূর্ণ মাছের প্রজেক্ট ও বাঁধ পরিদর্শনে গেলে এ হামলা চালানো হয়।
এ সময় একাত্তর টিভি ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার ইকবাল আহমদ সরকার, আর টিভির গাজীপুর স্টাফ রিপোর্টার আজহারুল হক ও মানবকণ্ঠ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি শামসুল হক ভূঁইয়াসহ কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় বাড়ীয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খানসহ ৬ জনের নামে জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বাদী বাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান খানের চাচাত ভাই আহত নুরু খান।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। এমন নেক্কারজনক ঘটনায় গাজীপুরের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও রাজনীতিবিদসহ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকেও) তীব্র নিন্দার ঝড় দেখা গেছে।
আহত সাংবাদিকরা জানান, গাজীপুর সদর উপজেলাধীন বাড়ীয়া ইউনিয়নের চিলনী, রোসাদিয়া ও কুমুন এলাকার স্থানীয় লোকজনের বিলের জমি ঘিরে নির্মিত একটি বাঁধ কেটে দিয়ে কৃষকের জমি ও খাল অবমুক্ত করার দাবি জানিয়ে দুই শতাধিক লোকজনের স্বাক্ষরসহ উপজেলা প্রশাসনের কাছে একটি আবেদন জানান গ্রামবাসী।
এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির কাছেও সহযোগিতা চেয়েছিলেন তাঁরা। এ নিয়ে গেল সপ্তাহে দৈনিক মানবজমিন ও আজকের গাজীপুর পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এছাড়াও চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এ নিয়ে মানববন্ধনের খবর মাই টিভিসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে।
গেল বুধবার রাতেও বাধ নিয়ে ভুক্তভোগীরা কয়েকজন সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকির সঙ্গে দেখা করেন। এরপর রাতে গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্র্মকর্তা সৈয়দ মোরাদ আলী সাংবাদিক ইকবাল আহমদ সরকারকে ফোন দিয়ে জানান, তিনি সকালে বাড়ীয়ার ঘটনাস্থলে যাবেন এবং সাংবাদিককে ঘটনাস্থলে যাওয়ার অনুরোধ জানান। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল দশটার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফোন দিয়ে ওই সাংবাদিককে বলেন, আমি উপজেলা থেকে রওনা দিচ্ছি আপনারাও চলে আসুন। এরপর তাঁদের সাথে ঘটনাস্থলে গেলে এক পর্যায়ে সাংবাদিকদের পূর্বের প্রকাশিত ও প্রচারিত রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে অতর্কিতে হামলা চালায় এবং মারপিট করা হয়।
এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোরাদ আলী ও উপজেলা প্রকল্প পরিচালক কুতুব উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। আহত সাংবাদিকরা শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। তাঁদের সাথে আহত হওয়া স্থানীয় নুরু খান বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোরাদ আলী জানান, তিনি বুঝে উঠতে পারেননি এমন নেক্কারজনক জন্য ঘটনাবে। তবে এ বিষয়ে আইনগত ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা ওেয়া হবে তিনি জাননান।
Leave a Reply