বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর লড়াই ত্যাগ নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপি এক উচ্চতা,হিমালয়ের থেকে যে উচ্চতা হিমালয়ের থেকে যার হৃদয় প্রসারিত সেই মহান মানুষটির আজ শুভ জন্মদিন। আর বঙ্গবন্ধুর জীবনের ইতিহাস মানেই স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস। জীবনে তিনি যা কিছু করেছেন সবকিছু দেশের জন্যই করেছেন। মাত্র ৫৫ বছর তিনি বেঁচে ছিলেন। সময়ের বিচারে এটি সংক্ষিপ্ত হলেও তার জীবনের দৈর্ঘ্যরে আকারে তার কর্মের প্রস্থ ছিল অনেক বেশি। তার জন্ম না হলে আজ আমরা স্বাধীনতা পেতাম না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় চত্বরে এসব কথা বলেন সাবেক বেনাপোল পৌর মেয়র লিটন।
শুক্রবার বেলা ৪ টার সময় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ১০৩ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সভাপতিত্ব করেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলগ এর প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম।
প্রধান অতিথি লিটন বলেন,জাতির জনক পরাধিন বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ভুখন্ড দিয়ে গেছেন। যার চিন্তা চেতনা ছিল ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তর সময়। জাতির জনক কোলকাতা বেকার হোষ্টেলে তার বন্ধুদের সাথে আলাপ আলোচনা করে বলেছেন বৃটিশদের থেকে দেশ স্বাধীন হলেও পাকিস্তানীদের কাছে আমরা পরাধিন। এরা বৃটিশদের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তাই এদের থেকে আমাদের মুক্তি পেতে হবে।
সাবেক মেয়র লিটন বলেন কিছু লোভিমানুষ কিছু বেঈমান মানুষ, কিছু অত্যাচারী মানুষও পৃথিবীতে থাকে। ও্ই অংশ হচ্ছে শয়তানের অংশ। ওই অংশ হচ্ছে অশুভ অংশ।আর আমার পিতা আপনার পিতা হাজার বছরের বাঙালী স্বাধীন বাংলার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে যদি চিনতে চাই তাকে যদি আমরা জানতে চাই তাহলে তাকে এখান থেকে দেখতে হবে। তিনি যখন মিশন স্কুলে পড়ত তখন তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেবের সামনে দাঁড়িয়ে বলছিলেন মাননীয় মন্ত্রী আমাদের স্কুলের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে এটা ঠিক করে দিতে হবে। তখন মন্ত্রী বলেছিলেন এত সাহস এত বজ্র কন্ঠ এই ছেলে একদিন বড় নেতা হবে। এই ছেলে একদিন জাতিয় নেতা হবে। তার জীবন এক বর্ণাঢ্য জীবন। আমার বন্ধ আপনার বন্ধু জতির জনক শিশু বয়সে সহাপাঠিদের লেখা পড়ার জন্য মুষ্ঠি মুষ্ঠি করে চাল উঠিয়েছেন। নিজের ধানের গোলা ভেঙ্গে ধান দরিদ্র সহপাঠিদের মাঝে বিতারন করেছেন। নিজের চাদর খুলে দিয়ে তিনি সহপাঠিদের শীত নিবারন করেছেন।
লিটন বলেন,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক জীবনে মোট ৪ হাজার ৬৮২ দিন কারাভোগ করেছেন। এর মাঝে বৃটিশ আমলে স্কুলের ছাত্রবস্থায় ৭ দিন কারাভোগ করেন। বাকি ৪৬৭৫ দিন তিনি পাকিস্তান সরকারের আমলে কারাভোগ করেন। তিনি যখন দেখলেন এদেশের সম্পদ চলে যাচ্ছে পাকিস্তানে। এদেশের সম্পদ লুট পাঠ হচ্ছে তখন তিনি আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিতে থাকেন। আর বার বার জেল খাটেন। সেই মহান নেতার মানব প্রেম দেখে সাড়ে ৭ কোটি বাঙালী সেদিন এক হয়েছিলেন। এবং তার আহবানে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। সেই যুদ্ধে ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রম হানি হয়েছিল ৩০ লক্ষ লোক শহীদ হয়েছিল। এরপর এই দেশ স্বাধীন হয়েছিল। সেই শেখ মুজিবের বাংলাদেশ এর মানুষ আজ মুক্ত আকাশ মুক্ত বাতাসে আছে অথচ সেই মহান নেতাকে তার কাছের মানুষ হত্যাকান্ডের নীল নকশা করেন।
তিনি আরো বলেন জাতির জনকের কন্যা ১৯৮১ সালে দেশে এসে এদেশের মানুষকে সংঘবদ্ধ করতে হাজার হাজার পাহাড়ী পথ হেটেছেন। বারংবার তাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। সেই নেত্রী কিছু চাওয়া পাওয়া ছিল না। সে বিদেশ থেকে এসেছে শুধু পিতার দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে। সেই থেকে নিরালস তিনি পরিশ্রম করে যাচ্ছে। অথচ কিছ্ ুহাইব্রিড নেতা শার্শায় এসে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের উপর অত্যাচার জুলুম করে যাচ্ছে। শার্শার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছে। বিচারহীনতা রাজনিতী চলছে শার্শায় । আজ সেই হায়েনার দল শার্শার উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করছে। এরকম হতে দেওয়া যাবে না। এসব হায়েনার দল আওয়ামীলীগের শান্তিপুর্ন অনুষ্ঠান পুলিশ দিয়ে বানচাল করছে। এসব হাইব্রিডদের চিহিৃত করা হচ্ছে। আগামিতে এসব টাউট বাটপরদের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে। আজ এই শার্শায় প্রতিটি ইউনিয়নে শালিশের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই জন্য তো আমার নেতা জাতির জনক এদেশ স্বাধীন করেনি। তাই সকল আওয়ামী নেতা কর্মী ভাইদের সজাগ থাকতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক বকুল, দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ সারোয়ার, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, কোষাধ্যাক্ষ খোদাবক্স, আওয়ামীলীগ নেতা সাধন কুমার গোস্বামী, বেনাপোল ইউনিয়ন এর যুবলীগ নেতা সাহেব আলী, শার্শা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোঃ সাহেব মিয়া , সাবেক ছাত্রলীগের উপজেলা সভাপতি রুহুল কুদ্দুস শার্শা উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিউটি খাতুন,বেনাপোল পৌর ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা, আওয়ামী নেতা মিজানুর রহমান ছাত্রলীগ নেতা আরিফুর রহমান, প্রমুখ।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে স্বরোচিত কবিতা আবৃত্তি করেন এমদাদুল হক বকুল।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন যশোর জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন আলম।
Leave a Reply