এরপরই জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিবেন নির্বাচন কমিশন (সিইসি)।
গাজীপুরের এই নির্বাচন সরকারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও সংকেত।
তবে গাসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মরাই কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে । তাঁরা নৌকার ধারের কাছেও নেই।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চাওয়ার কথা থাকলেও এমন নজির খুবই কম দেখা যাচ্ছে।
একটি সূত্রে জানায়, ভাই লীগ বা জাহাঙ্গীর আলম লীগের লোকেরা নৌকার চরম বিরোধীতা করে আসছে। তারা জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুনের ঘড়ি মার্কার নির্বাচন করছে।
অথচ তাঁদের গলায় নৌকার ব্যাচ লাগানো রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোনাবাড়ি থানার আমবাগ, নছের মার্কেট, বাইমাইল, বাঘিয়া, জরুন ও হরিণা চালা এলাকায় অনেকেই প্রকাশে ও গোপনে নৌকার ব্যাচ ধারণ করেছে।
তারা নৌকার ব্যাচ ধারণ করে গলায় ঝুলিয়ে ঘড়ির নির্বাচন করার তথ্য পাওয়া গেছে।
তবে বেশিরভাগ (বর্তমান) কাউন্সিলরের কর্মীরা এমন কাজের সক্রিয় রয়েছেন। তাঁরা তাঁদের কাউন্সিলর এবং ঘড়ির ভোট চাওয়া নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন।
আওয়ামী লীগের এক পরীক্ষিত কর্মী জানান, সেই ২০১৩ সালের মতোই নাটক শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, বেশিরভাগ বর্তমান রানিং কাউন্সিলরের লোকেরাই আওয়ামী লীগের কমিটিতে থেকে এমন নৌকার বিরোধীতা করছে।
নৌকার ব্যাচ গলায় ঝুলিয়ে এই সুযোগ নিয়েছে বলে জানান তিনি।
একটি সূত্রে জানায়, সুবিধাবাদীরা নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে আসছে।
আওয়ামী লীগ তথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত মেয়র প্রার্থী গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খানকে আবারো ফেল করতে একটি মহল এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
তাঁরা বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ঘড়ির নির্বাচন করে আসছে।
শুক্রবার (১২ মে) তথ্য নিয়ে দেখা গেছে, কোনাবাড়ি থানার হরিনাচালা, আমবাগ, জরুন ও বাইমাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর বিরোধিতা করা হচ্ছে।
বিরোধীতা কারীরা কোনাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের কমিটিতেও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
তাঁরা গোপনে গোপনে জাহাঙ্গীর আলমের মায়ের ঘড়ির নির্বাচন করছে এবং জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।
এই তালিকায় বেশি বেশ কয়েকজন রানিং কাউন্সিলর, মহিলা সংরক্ষিত কাউন্সিলরসহ আওয়ামী লীগের পদে থাকা নেতারা এমন ষড়যন্ত্র লিপ্ত রয়েছেন বলে জানা গেছে।
আজ শুক্রবার কোনাবাড়ি থানার আমবাগ সমাজকল্যাণ মসজিদ, বাইমাইল মসজিদসহ প্রায় প্রত্যেকটি মসজিদের প্রধান ফটকের সামনে ঘড়ির লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
অথচ সেখানে নৌকার লিফটেড দেখা যায়নি।
এ ব্যাপারে আমবাগ ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে কে দিল এই পোস্টার তা দেখে বলতে হবে।
এ ব্যাপারে কোনাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান মাস্টার জানান, আমি দূরে আছি বিষয়টি এসে দেখব।
Leave a Reply