বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল লিটন বলেছেন ৪২ বছর আগে আজকের এই দিনে দেশে ফেরেন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর দীর্ঘ প্রবাসজীবন কাটিয়ে তাঁর দেশে ফেরার এই দিনটিতে (১৯৮১ সালের ১৭ মে) লাখো মানুষ তাঁকে স্বাগত জানান। এর পর থেকে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটিকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করে আসছে আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলো। জাতির জনকের দুই কন্যা ৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জার্মানিতে থাকার জন্য তারা বেঁেচ গিয়েছিলেন। গভীর ভাবে যদি পর্যালোচনা করা হয় তাহলে এ্ই উপমহাদেশের রাজনীতি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের স্বাধীনতা বাংলাদেশকে পুনর্গটন করা যুদ্ধ বিধস্থ বাংলাদেশকে পুনর্গটন করা যদি দেখতে হয় তবে আমরা দেখতে পারব পাকিস্তানী ভাবধারার মানুষগুলো এদেশের স্বাধীনতা চায়নি। তারা এই ভুমিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে। এই স্বাধীনতাকে প্রশ্িনবদ্ধ এবং স্বাধীনভাবে বাঙালী জাতি মাথা উচু করে বেঁচে থাকুক তারা সেটা চায়নি। তারা দেশী এবং আন্তর্জাতিক ভাবে স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪২ তম স্বদেশ প্রত্যবর্তন দিবস উপলক্ষে বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টারে কথা গুলো বলেন প্রধান অতিথি হিসাবে সাবেক মেয়র লিটন।
বুধবার বিকাল ৫ টার সময় শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বেনাপোল পৌর কমিউনিটি সেন্টারে সভাপতিত্ব করেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম। প্রধান অতিতি আশরাফুল আলম লিটন এসময় যারা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন, মামলা হামলার শিকার হয়ে জেল খেটেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করে আজো তারা অপমান অপদস্ত হওয়ার পরও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর পতাকাতলে রয়েছেন তাদের ২৫ জন শার্শা উপজেলার প্রবীন আওয়ামী সদস্যকে সন্মানিয় ক্রেষ্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন।
প্রধান অতিথি আশরাফুল আলম লিটন বলেন,১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের বেশির ভাগ সদস্যকে হত্যা করা হয়। দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বিদেশে থাকার সময় ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে শেখ হাসিনা দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালনা করার অনেক ষড়যন্ত্র করেছে ওইসব ঘাতক চক্ররা তারা বাংলাদেশকে আফগানিস্তান বানানোরও চক্রান্ত করেছিল। জাতির জনক এদেশকে স্বাধীন করার জন্য দীর্ঘ ১৪ বছর জেল খেটেছে। তিনি তার জীবন যৌবনের শ্রেষ্ট সময় পরিবার পরিজনকে সময় না দিয়ে এদেশের মানুষকে আলাদা ভুখন্ড আলাদা পতাকার জন্য লড়াই সংগ্রাম করে অবশেষে ঘাতকদের হাতে স্বপরিবারে জীবন দিয়ে গেছেন। পৃথিবীর যে সব রাষ্ট্র বাংলাদেশকে বীরের জাতি হিসাবে জানত সেই সব জাতি অবশেষে বাংলাদেশকে হায়েনার জাতি বেঈমানির জাতি হিসাবে জানল। বাংলাদেশের নামে কলঙ্ক লেপন করল এদেশের পাকিস্তানি দোসররা।
তিনি আরো বলেন, এসব হায়েনারা জাতির জনকের কন্যাকে ৬ বছর এদেশে আসতে দেয়নি। তাদের পাসপোর্ট এর মেয়াদাত্তীর্ন হলেও জিয়াউর রহমান সেই পাসপোর্ট রিনু করে দেয়নি। এরপর বাংলাদেশের পরম বন্ধ মুক্তিযুদ্ধ কালীন সময়ে যারা এগিয়ে এসে বাংলাদেশকে সাহায্য করে স্বাধীন করেছিল, এককোটি বাঙালীকে জায়গা দিয়েছিল, খাবার দিয়েছিল, এবং সর্বপ্রধম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল সেই ভারতের প্রধান মন্ত্রী ইন্দ্রিরাগান্ধির স্মরনাপন্ন হয়। তিনি অবশেষে তাকে দেশের আসার সাহায্য করেছিল। এবং শেখ হাসিনা দেশে আসল। তিনি দেশে এসে দেখল তার বাবার রেখে যাওয়া মানুষ ভাল নেই, তার বাবার রেখে যাওয়া মানুষের পেটে ভাত নেই , তার বাবার রেখে যাওয়া মানুষ আজ ক্ষুধার্ত, পরনে কাপড় নেই। জনপ্রিয় সব মানুষকে হত্যা করছে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানিত করা হচ্ছে। পাকিস্তানী ভাবধারায় তারা তখন স্লোগান দেয়। জয় বাংলার শ্লোগান দিলে মানুষের মাঝে শক্তি সঞ্চার হতো, জয় বাংলার শ্লোগান দিলে বাঙালী শিহরীত হয়ে উঠত, জয় বাংলার শ্লোগান দিলে বাঙালী পবিত্র হয়ে উঠত সেই জয় বাংলার শ্লোগানকে তারা বন্ধ করে দিয়েছিল। তাই এসব জামাত বিএনপির দোসরদের চক্রান্ত থেকে সকলকে সজাগ থেকে আগামি দ্বাদশ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে জয়ী করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
এসময় বিশেষ অতিতি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আহাসন উল্লাহ মাষ্টার, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, কোষাধ্যাক্ষ খোদাবক্স, বনও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুহুল কুদ্দুস, সাবেক ছাত্র নেতা আসাদুজ্জামান হাই,আওয়ামী নেতা মোজাফফার হোসেন, মশিয়ার রহমান. শাহজাহান দিল, ওবাইদুর রহমান স্বাধন কুমার গোস্বামী, লক্ষনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা খাতুন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যশোর জেলা আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামর কার্যকরি সদস্য জাকির হোসেন আলম।
মোঃ আনিছুর রহমান
Leave a Reply