গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা:
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার হওয়া ওই তিন ধর্ষক হলো, নগরীর বাইমাইল কাদের মার্কেট এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে শামীম রেজা (২৬), শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী থানার নিজাম উদ্দিনের ছেলে ফারুক (২৭) এবং নগরীর বাইমাইল কাদের মার্কেট এলাকার মৃত মিয়া চাঁনের ছেলে সাহেব আলী (৬৫)।
মামলার এজহারে জানায়, ওই গৃহবধূ বুধবার সকালে তাঁর ৭ বছরের ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কোনাবাড়ির বাইমাইলে বান্ধবীর বাসায় বেড়াতে আসেন। সন্ধ্যা হওয়ার পরেও তাঁর বান্ধবীর বাসা খুঁজে পান না।
ওইদিন রাত ৮টা বাজলেও তাঁর বান্ধবীর বাসা খুঁজে না পেলে এক প্রকার সিদ্ধান্ত নিয়ে আরেক বান্ধবীর মাধ্যমে পোশাক কারখানায় চাকুরির জন্য বাইমাইল কাদের মার্কেট যান।
রাত তখন সাড়ে ১০টা বাজে কিন্তু বান্ধবীর বাসা খুঁজে না পেলে ওই সময় লম্পট শামীম ও ফারুককে বান্ধবীর বাসার কথা জিজ্ঞাসা করেন। এসময় তাঁরা বলে আমরা তোমার বান্ধবী বাসা চিনি। বান্ধবীর বাসা দেখিয়ে দেয়ার কথা বলে কোনাবাড়ি থানাধীন বাইমাইল কাদের মার্কেট এলাকায় সাহেব আলীর বাসার গলির ভিতরে নিয়ে যায়। প্রায় ১০০ গজ দূরে সাহেব আলীর টিনসেড রুমের ভিতরে নিয়ে যায় শামীম ও ফারুক।
তখন ওই গৃহবধূ তাঁদেরকে খালি রুমের ভিতরে নিয়ে আসার বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করিলে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে তাঁরা। পরে বিষয়টি সাহেব আলীকে জানাইলে তিনিও গৃহবধূকে ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে চুপ থাকতে বলেন। পরবর্তীতে ওই গৃহবধূ তাঁর বান্ধবীকে পেয়ে ঘটনাটি জানায়। এরপর বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে কোনাবাড়ি থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ মামলা করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম জানান,ভুক্তভোগী গৃহবধূর অভিযোগ পাওয়ার তিন থেকে চার ঘন্টার মধ্যেই আসামীদের গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে ধর্ষণের কথা তাঁরা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে বলেও তিনি জানান।
Leave a Reply