মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী এ্যাড. আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এমপি, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (গাউক) চেয়ারম্যান ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আজমত উল্লাহ খানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে। বাদ নেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁকে নিয়েও বকাঝকাসহ নানা কটুক্তি করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন কোনাবাড়ি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে পুলিশকে নিরবতা ভূমিকা পালন করার অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আমবাগ মধ্যপাড়া এলাকার জাতীয় পার্টি নেতা মো. আতাউর রহমান (৪৮) এর সেলটারে কিশোগঞ্জ জেলার ইটনা থানার মোঃ আঙ্গুর মিয়ার ছেলে মোঃ জুলহাস (২৭), মোঃ আসলাম বেপারী (৪৫) ও আমবাগ মধ্যপাড়া এলাকার মোঃ ফজলু মিয়া (৩২)সহ, গত ১৬ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ আতাউর মার্কেট এলাকায় ২৫ মে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছে।
শুধু গালি দিয়েই ক্ষান্ত নয়, আতাউর বাহিনী বোমা মেরে আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠান উড়িয়ে দেয়ার হুমকীও দিয়ে আসছে। এর প্রতিবাদ করায় নৌকার কর্মী মোঃ রতন মিয়াকে মারধর ও খুন করার হুমকী দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, লাদেন আতাউর রহমানের লালিত-পালিত পোষা বাহিনী জুলহাস বার বার খুন-জখমের হুমকী দিয়ে আসছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে।
গেল ১৬ জুলাই রাতে ওই বাহিনীরা আমবাগ মধ্যপাড়া এলাকায় আতাউর রহমানের হুকুমে মোঃ জুলহাস, মোঃ আসলাম বেপারী, ও আমবাগ মধ্যপাড়া এলাকার মোঃ ফজলু মিয়াসহ নৌকার কর্মী রতন মিয়াকে লোহারড এবং চাকু দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় মোঃ হবি খান, মোঃ জহির, মোঃ ফারুক সরকার এবং ফারুক হোসেনের সামনে লাদেন বাহিনীর অন্যতম সদস্য জুলহাস গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে তাঁরা এগিয়ে আসলে প্রানে বেঁচে যায় রতন।
ঘটনা এখানেই শেষ নয়, তাঁরা মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী এ্যাড. আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এমপি, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (গাউক) চেয়ারম্যান ও গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. আজমত উল্লাহ খানসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও তাঁরা অকথ্য ভাষায় গালি করেছে বলে অভিযোগে পাওয়া গেছে।
নগরীর ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ হায়েত আলী মেম্বর জানান, এ ব্যাপারে কোনাবাড়ি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। তবে এর রেজাল্ট এখনো পুরোপুরি জানা নেই।
সাধারণ সম্পাদক মোঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে কোনাবাড়ি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
কোনাবাড়ি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর মোঃ খলিলুর রহমান এম.এ বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোনাবাড়ি থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু থানা বিষয়টি গুরুত্বও দিয়ে দেখছেন না। অপরাধীরা প্রকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কোনাবাড়ি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার নজরে নেই, তবে অভিযোগ দিয়ে থাকলে তদন্তকারীরা দেখবেন।
Leave a Reply