1. [email protected] : Dhaka Mail 24 : Dhaka Mail 24
  2. [email protected] : unikbd :
বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
গাজীপুর সিটির নতুন পরিষদের সভায় কিরণের দুর্নীতির তদন্তের সিদ্ধান্ত গাজীপুরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দুর্নীতি, অনুমোদন ছাড়াই হাজার কোটি টাকার সহ্রাধিক প্রকল্প বেনাপোলে পৃথক অভিযানে ২০৯ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক-১ বেনাপোলে সব গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি থাকা সত্বেও বোমা মজুদ থেমে নেই বেনাপোল স্থল বন্দর এলাকা থেকে একদিনের ব্যবধানে আবারো ২৩ বোমা উদ্ধার বেনাপোলে বোমা মজুদ রাখার অভিযোগে শ্রমিক সর্দার বাদল আটক আযুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান আয়ুশ লিঃ এর মালিক মোস্তফা ও তার স্ত্রী কারাগারে বেনাপোল বন্দর এলাকায় মাটির নিচে থেকে উদ্ধার হলো তাজা ১৮ টি বোমা বেনাপোলে যশোর বøাড ফাউন্ডেশন এর তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে এপার বাংলা ওপার বাংলা সৌহার্দ সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে রাখি বন্ধন উৎসব

বর্ষা হোক আনন্দমুখর

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩
  • ৬৫ বার পঠিত

ডা.নূরজাহান নীরা

ষড়ঋতুর দেশ আমাদের এ বাংলাদেশ। বারটি মাসে ঘুরে ঘুরে ঋতুগুলো নতুন নতুন রূপে আমাদের মাঝে হাজির হয়।ঋতু পরিবর্তনের ধারায় আমাদের মাঝে বিরাজ করছে বর্ষাকাল।বর্ষাকাল মানেই অন্য রকম অনুভূতি। অন্য এক ভালোলাগা। বর্ষায় নদী-নালা,খাল-বিল- ঝিল, পুকুর কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় বৃষ্টির পানিতে।তেমনি গাছপালা লতাপাতাও ফিরে যায় প্রকৃত সজীবতায়।প্রকৃতির অপরূপ এই শোভা উপচে পড়ে গ্রাম থেকে শহরে।গ্রামের মেঠেপথে মাঠ ঘাটে মনোরম এক রূপের দেখা মেলে বর্ষাকালে। কমদফুলের বাহারে চোখ জুড়িয়ে যায়। বৃষ্টির ছন্দে কদমফুলের দোলে মন হারিয়ে চায় বারবার ।বিলে ঝিলে শাপলা ফুলের মনোরম দৃশ্য চোখ জুড়িয়ে যায়। পুকুরের থৈথৈ জলে সাতার কাটা,বৃষ্টিতে ভেজা,খাল বিল থেকে দেশীয় মাছ ধরা,বৃষ্টির পানি পেয়ে জমিতে লাঙল দেওয়া, প্রকৃতির সাথে তাল মিলিয়ে গ্রামর মানুষও নব উদ্যোমে মেতে ওঠে এ সময়।

বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চলে বাড়ি বাড়ি আড্ডা। গ্রামের মুরুব্বিরা সব এক জায়গায় বসে মেতে ওঠেন বিভিন্ন গল্পে।ছোটরাও পাঁচগুটি,লুডু,দাবা,ক্রাম, যে যা পছন্দ করে। প্রাণে প্রাণে মিলন ঘটে তাদের মাঝে।বাইরে ধুম বৃষ্টি ঘরে হাঁসের মাংসের সাথে খিচুড়ি যোগে চলে ভোজায়োজন। অথবা নানান রকম ভর্তায় জমে ওঠে খিচুরি।গ্রামের মত গাছপালা শহরে না থাকলেও বৃষ্টির অপেক্ষায় মানুষ থাকে।গ্রীষ্মকালের গরমের পর একটু বৃষ্টি, বর্ষাকাল মানুষের চরম কাঙ্ক্ষিত হয়ে যায়। তবে বৃষ্টির সে ভালোলাগা বেশিক্ষণ উপভোগ করতে পারে না শহরের লোকজন।শহরের অধিকাংশ রাস্তা একটু পানি হলেই তলিয়ে যায়। একটু নিচু বা বাঁধের এলাকায় অল্প বৃষ্টিতে ঘরে পানি ঢুকে যায়।বৃষ্টির পানিতে ভিজতে ভালোলাগে কিন্তু শহরে বৃষ্টির পানির সাথে যোগ হয় ড্রেনের ময়লা পানি।যা পয়ঃনিষ্কাশন ও বিভিন্ন কলকারখানার কেমিক্যাল যুক্ত। এসব পানিতে থাকে কোটি কোটি রোগজীবাণু।এই ময়লা পানি দ্বারা সৃষ্টি হয় দীর্ঘ জলাবদ্ধতার। আর এই পানিতে চলাচল করে স্কুলগামী বাচ্চারা চর্মরোগ সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়।তারউপর আসে মশার উপদ্রব।বেড়ে যায় মশা বাহিত রোগের প্রকোপ।বর্ষাকাল শুরু হলেই ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, ম্যালেরিয়ার মত রোগের বিস্তার বেড়ে যায় বহুগুণে।জলাবদ্ধতার কারণে ফুটপাতের বা বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আয় রোজগার বন্ধ হয়ে যায়। শহরে বসবাসকারী কর্মজীবী মানুষগুলোর কাছে বর্ষা আনন্দের না হয়ে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে তখন।বর্ষা আসে প্রকৃতিকে অপরূপ সাজে সাজাতে, মানুষের মনকে ভিন্ন আবেশে রাঙাতে।আমাদের নীতি নির্ধারকগণ, জনপ্রতিনিদিগণ যদি সদয় হয়ে এই সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারেন, জলাবদ্ধতা নিরসন,মশার উপদ্রব নির্মুল,তাহলে গ্রামের মত শহরের মানুষের কাছেও বর্ষাকাল হয়ে উঠবে আনন্দ ও সুখাবেশে ভরা এক ঋতু।

ভাইস চেয়ারম্যান, নতুনধারা বাংলাদেশ


শেয়ারঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ Dhaka Mail 24
Developed By UNIK BD