জাহিদ ইসলাম
স্বাধীন সর্বোভৌম বাংলাদেশ এর স্থাপতি বাংলার হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শের একজন মহান নেতা ডক্টর সিদ্দিকুর রহমান। তিনি দীর্ঘ এক যুগেরও বেশী সময় ধরে বিশ্বের শক্তিধর রাষ্ট্র আমেরিকায় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছে।
তাই একজন বাঙালী হিসাবে আমেরিকায় বসবাস করে সিদ্দিকুর রহমান এর আদর্শে অনুপ্রানীত হয়ে আমি তার অনুসারি হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আমি সহ আমার মত আরো নেতা কর্মী সিদ্দিকুর রহমানকে শ্রদ্ধা ভালবাসায় সিক্ত করেছে। কারন আমরা জানি তিনি একমাত্র ব্যাক্তি যিনি যুক্ত রাষ্টে আওয়ামীলীগকে তার মেধা দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি এমন একজন অধিনায়ক হিসাবে কাজ করছে যার মধ্যে আছে সাহস, স্মার্ট এবং নীতিবোধ। তিনি জাতির জনকের স্বপ্ন ধারনায় বিশ্বাসী।
এই মহানায়ক ২০২২ সালে আমেরিকার জর্জিয়া শহরে আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষনার সময় আসে।তিনি সুদুর নিউইয়র্ক থেকে জর্জিয়া আসেন এবং ঘোষনা দেন এই শহরে একটি কমিটি ঘটন করা হবে য আওয়ামীলীগের জন্য যারা কাজ করবে তারা মুল্যায়িত হবে। তিনি বলেন সঠিক ব্যক্তি যোগ্য ব্যক্তি সঠিক পদে থাকবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এমন একজন লোকের নাম সচিব হিসাবে ঘোষনা করলেন যে ব্যক্তি ২০২২ সালের জুনের আগে তিন বছর আওয়ামীলীগের একটি মিটিংয়ে অংশ নেননি। কিন্তু তারপরও আমি এবং আরো কিছু কর্মী তার প্রতি অন্ধ বিশ্বাস রেখেছিলাম। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ আগে আমার এই নেতা জর্জিয়ায় দ্বিতীয় কমিটি ঘোষনা করে জর্জিয়ায় আওয়ামীলীগকে টুকরো টুকরো করার সিদ্ধান্ত নেন। আমি তবুও নেতার সিদ্ধান্তে বিচলিত না হয়ে এর ইতিবাচক দিকগুলি খুজে বের করার চেষ্টা করছিলাম যদিও আমি কিছই পায়নি।
তিনি এক বছর যেতে না যেতে আবারও জর্জিয়ায় পূর্নঙ্গ রাজ্য আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এবং ওই কমিটি দেখে আমি লজ্জিত কারন তিনি বিএনপির লোক নিয়ে কমিটি ঘোষনা করেছিলেন। যারা বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি পোড়াতে যেয়ে ধরা পড়েছিল।
তার এই কার্যকলাপে আমি হতভাগ কিন্তু রাগাম্বিত নই। কারন আমার নেতার প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। তাই আমি ফোন তুলে নেতার সহযোগিতা চাইলাম। আমি বিচলিত নই কারন নেতা একজন ব্যস্ত মানুষ। আমি তার উপর এখনও বিশ্বাস রাখি। তিনি গতকাল জর্জিয়ায় আর একটি কমিটি ঘোষনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার নেতা জর্জিয়ার কোন কমিটিতে কখনোই ছিলেন না। এমন গুরুত্ব পূর্ন পদে ৭ জনের নাম তিনি দিতে চেয়েছেন।আমি যখন একজন সহসভাপতির কথা বলি তখন তিনি বলেন এমন একজনকে সহ-সভাপতির নাম দিয়েছেন যে তার পরিবার আওয়ামীলীগকে সমর্থন করে।আমি এখন রাগ করি না আমি আমার সভাপতিকে ভালবাসি।
Leave a Reply