মোঃ ্আনিছুর রহমান, বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেযর আশারাফুল আলম লিটন বলেছেন সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর গোটা বিশ্বে নেমে আসে তীব্র শোকের ছায়া এবং ছড়িয়ে পড়ে ঘৃণার বিষবাষ্প। আমরা আগষ্ট মাসে ব্যাথিত হয়। কারন আগষ্ট হচ্ছে আমাদের স্বজন হারানো মাস, আপনজন হারানো মাস, প্রিয়জন হারানো মাস, ভাই হারানো মাস, মা হারানো মাস,পিতা হারানো মাস । একটি পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত গোলামী থেকে দাস থেকে উঠে এনে স্বাধীন ভুখন্ড দেবার জন্য আমার এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু বার বার কারাবরন করে আবার ফিরে এসে সংগ্রাম করে উপহার দিয়েছে একটি লাল সবুজের পতাকা, আলাদা ভুখন্ড বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন সার্বোভৌম রাষ্ট্র। নিজামপুর,ডিহি ও লাক্ষনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত ১৫ আগষ্ট শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৪৮ তম সাহাদত বার্ষিকির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি আশরাফুল আলম কথাগুলি বলেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ৫টার সময় শার্শার নিজামপুর, ডিহি ও লক্ষনপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ আয়োজিত ১৫ আগষ্ট জাতিয় শোক দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮ তম সাহাদত বার্ষিকীতে সভাপতিত্ব করেন নিজামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান কবির দিলা । এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাবেক বেনাপোল পৌর মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
প্রধান অতিথি আশরাফুল আলম লিটন বলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।পৃথিবীর এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত এবং তার ছেলে আরিফ ও সুকান্তবাবু, মেয়ে বেবি, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।
তিনি আরো বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু অল্পদিন বেঁচেছিলেন কিন্তু কর্ম ছিল বৃহৎ বিশাল আকাশের সম উচ্চতা সম্পুর্ন কল্পনা করে গেছেন। একটি মানুষ তার দেশের মানুষ, প্রকৃতিকে ভালবেসে প্রায় ১৪ টি বছর কারাগারে কাটিয়েছে। আবার তিনি ফিরে এসে আবার আন্দোলন করেছেন। তিনি কৃষকের বন্ধু, শিশুর বন্ধু, শ্রমিকের বন্ধু। তার স্নেহের সন্তানরা কারাগারে থাকার জন্য বাবার কাছ থেকে স্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তার জীবন উৎসর্গ করা ছিল এই ভুমির জন্য, এই মানুষের জন্য এই প্রকৃতির জন্য। বার বার কারাবরন করা সত্বেও তিনি স্বপ্ন দেখতেন একদিন বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত খাবে। তিনি ভেবেছিলেন যারা আমাদের শাসন করেছে তারা কোনদিন আমাদের মঙ্গল চাইবে না। তাই তিনি অবশেষে জীবনের ঝুকি নিয়ে সাহস ও শক্তি নিয়ে এদেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে ৯ মাস যুদ্ধ করে অবশেষে এই দেশ স্বাধীন করল। অথচ সেই মানুষকে হত্যা করার পর একটি কালো আইন তৈরী করেছিল বিএনপির জিয়াউর রহমান। কোন দিন জাতির জনকের যেন বিচার না হয়।
বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দেওয়ার সময় তাকে বলেছিল ৬ দফা দিয়ে কি বুঝাতে চেয়েছেন। তখন তিনি পাকিস্তানিদের উদ্দেশ্য বলেছিল ৬ দফা কিছু না আমি শুধু বুঝি কত দিছ কত দিবা আর কখন যাবা।
প্রধান অতিথি লিটন বলেন,বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নোবেল জয়ী পশ্চিম জার্মানির নেতা উইলি ব্রানডিট বলেন, মুজিবকে হত্যার পর বাঙালিদের আর বিশ্বাস করা যায় না। যে বাঙালি শেখ মুজিবকে হত্যা করতে পারে তারা যে কোনো জঘন্য কাজ করতে পারে।ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক নীরদ সি চৌধুরী বাঙালিদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, বাঙালি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা শেখ মুজিবকে হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বের মানুষের কাছে নিজেদের আত্মঘাতী চরিত্রই তুলে ধরেছে।
এ সময় ্উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামীলগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আহসান উল্øাহ মাষ্টর, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ফজলুল হক বকুল, দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ সারোয়ার, কোষাধ্যাক্ষ খোদাবক্স, উপ-দপ্তর সম্পাদক সাধন কুমার গোস্বামী বেনাপোল পৌর সভার সাবেক প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, নিজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল, লক্ষনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম, ডিহি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবাইদুর রহমান, আওয়ামী নেতা সাহেব আলী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনিবাহী সদস্য জাকির হোসেন আলম।
মোঃ আনিছুর রহমান
বেনাপোল যশোর
০১৯১৬-৯১৯৩৬২
১৭/০৮/২৩
Leave a Reply