বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যেমে আবারও বালাদেশ আওয়ামীলীগ জয়ী হবে। তার কারন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ২ কোটি মানুষকে ভাতা দিয়েছেন। বছরের শুরুতে ৩৫ কোটি শিক্ষার্থীকে নতুন বই দিয়েছেন। এবং কৃষক এর সার ও কীটনাশক যথা সময়ে নিশ্চিত করেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালীর সন্মান নিয়ে চিন্তা করতেন বাঙালীর অধিকার নিয়ে চিন্তা করতেন। সকল সংগ্রামী লড়াইয়ে বাঙালীর সকল পাওনায় তিনি ৪৬৮২ দিন জেল খেটেছিলেন। তার ৫৫ বছরের একটি ছোট্র জীবনে তিনি এতদিন জেল খেটেছিলেন শুধু বাঙালীর অধিকার আদায়ের জন্য। তাই মনে পড়ে তোমার মৃত্যুর কথা মনে হলে, তোমার জন্মের কাছে ঋনি হয়ে যাই। এত নিষ্ঠুর এবং নির্দয় ভাবে এই পাকিস্তানী প্রেতাতœারা এই বাংলার বন্ধু হাজার বছরের শৃঙ্খল যিনি মুক্ত করে দিয়ে একটি লাল সবুজের পতাকা আমাদের দিয়েছেন সেদিন থেকে বাঙালীরা বলতে পারে আমাদের নিজস্ব একটা ভুমি আছে। সেটা হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ। আর এই বাংলাদেশ আমাদের দিয়ে গেছে যিনি জীবনের শ্রেষ্ট সময় পরিবার পরিজনের সাথে সময় ব্যায় না করে অন্ধকার কারাগারে কাটিয়েছেন তিনি আমাদের বন্ধু তিনি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শার্শা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট নিহতদের স্মরন ও দোয়া অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন আশরাফুল আলম লিটন।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক বেনাপোল পৌর সভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন এর আয়োজনে শার্শা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে স্মরন ও দোয়া অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় আশরাফুল আলম লিটন বলেন, আমাদের প্রিয় বঙ্গমাতা ও শেখ ফজিলাতুন্নেছাও অনেক কাজ করেছেন। তিনি নেতাদের সাথে যোগাযোগ, কোর্টে উকিলের সাথে বঙ্গবন্ধুর জামিন এবং দলের জন্য নিজের গয়না বিক্রি করে টাকা দিতেন তিনি আমাদের বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা। তিনি বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সংসার ছেলে মেয়ের লেখা পড়া সামলিয়ে দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। একজন গৃহকর্তার অবর্তমানে একজন স্ত্রীর পক্ষে সংসার ছেলে মেয়ের পড়া লেখা যে কত কঠিন তা করেছিলেন আমাদের বঙ্গমাতা।
তিনি আরো বলেন আমাদের বঙ্গবন্ধু সবসময় অহসায় মানুষের পাশে থেকেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের বেতন ভাতার সাথে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। তখন তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজটিকিট দিলেন। তাকে আন্দোলন থেকে সরে গেলে আবার ছাত্রত্ব ফিরিয়ে দেওয়া হবে এরকম প্রতিশ্রæতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দিলে ও তিনি তা ফিরিয়ে নেন নাই। জাতির জনক যেটা ন্যায় ও সঠিক মনে করেন সেখানে থেকে তাকে সরাতে পারেনি কেউ। তিনি নিজের স্বার্থে নিজের প্রয়োজনে কখনো কোন কাজ করেন নাই, এমন কোন প্রমান নাই। স্ইে মানুষটি সহ তার পরিবারের ১৫ জনকে হত্যা করল নিষ্টুর ভাবে। সেই বাঙালী জাতি বিশ্বের কাছে বীরের জাতি থেকে বেঈমানের জাতিতে খেতাব পেল। এই বেঈমানির জাতির কলঙ্ক যারা লেপন করেছেন তাদের আমরা চিনি। কারন বঙ্গবন্ধু হত্যা কান্ডর পর জিয়াউর রহমান যখন ক্ষমতায় আসলেন তখন তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার না করে তিনি বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পৃথিবীর বিভিন্ন দুতবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করলেন । এবং ৩ নভেম্বর জাতিয় চার নেতাকে সব থেকে নিরাপদ জায়গা জেল খানায় সেখানে হত্যা করা হয়েছে। সে সব খুনিদের তিনি ইন্ডেমিনিটি জারি করে বিচার বন্ধ করলেন। তাহলে সকল হত্যা কান্ডর সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিলেন।
সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন আরো বলেন, আজ আমাদের শার্শায় যে মামলা হামলা এবং প্রকৃত আওয়ামীলীগরা কোন ঠাসা আছে তাদের কাছে তাদের আওয়ামীলীগ আমরা ফিরিয়ে দিতে চাই। আজ বিএনপি জামাতদের যারা এই জনপদে প্রতিষ্টিত করে প্রকৃত ত্যাগি নেতাদের অবমুল্যায়ন করছে তাদেরও সময় ফুরিয়ে আসছে। এই শার্শা হবে স্বস্থি শান্তি আর উন্নয়নের । এখানে আর কোন সিন্ডিকেট থাকবে না। এখানে যার যার ফার্মের ডিম সেই সেই বাজারে বিক্রি করবে। যার যার মুরগী সেই সেই বাজারে বিক্রি করবে। শুধু একজন বাজারজাত করে তার ফার্মকে হৃষ্ট পুষ্ট করবে এরকম সিন্ডিকেট আর থাকবে না।
আপনারা জানেন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা , পঙ্গু ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়ে আজ দেশের ২ কোটি মানুষকে জননেত্রী শেখ হাসিনা সহয়তা করছে। বছরের প্রথমে ৩৫ কোটি ছেলে মেয়েকে নতুন বই প্রদান করছে, কৃষককে সার ঔষুধ নিশ্চিত করছে তিনি আমাদের মানবতার মা, জননেত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শেখ সারোয়ার, কোষাধ্যাক্ষ খোদাবক্স, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, উপ-দপ্তর সম্পাদক সাধন গোস্বামী,বেনাপোল পৌর সভার সাবেক প্যানেল মেয়র সাহাবুদ্দিন মন্টু, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান, ডিহি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবাইদুর রহমান আওয়ামীলীগ নেতা সাহেব আলী, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শার্শা উপজলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান ।
Leave a Reply