নিজস্ব সংবাদদাতা:
গাজীপুরের আযুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান আয়ুশ লিমিটেডের মালিক মোস্তফা নওশাদ জাকি ও স্ত্রী ফারহানা ফেরদৌসী দোলনকে প্রতারণার অভিযোগে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকায় এক নারীর কাছে ফ্ল্যাট বিক্রি করে তা রেজিষ্ট্রি না করে দেওয়ায় তাকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইতে যান।
এ সময় আদালত তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেন। জকি দীর্ঘদিন ধরে আইনশৃঙ্খা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে অনুমোদনহীন যৌন উদ্দীপক ওষুধ তৈরী করে বিক্রি করতেন।
গাজীপুর ও ময়মনসিংহে তার বিরুদ্ধে রয়েছে প্রতারণা মামলা। ওইসব মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে জেলও খেটেছেন।
ওই প্রতারক দম্পতি নতুন করে ফের প্রতারণার ফাদঁ পেতেছেন রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায়। শ^শুর বাড়ির সম্পদের ওপর হাজী সলিম উদ্দিন লেনের জায়ারা কমপ্লেক্স নামে একটি আপার্টমেন্ট তৈরি করেন তারা। ফ্ল্যাট তৈরি করে বিক্রি করেন। কিন্তু অথচ কাউকেই রেজিস্ট্রি করে দেন না।
৬৮ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৬ টাকা নগদ দিয়েও তাদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কিনেন ঢাকার বাসিন্দা হাসিনা ইকবাল।
কিন্তু রেজেস্ট্রি করে না দিয়ে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকেন। পরে গোপনে ফ্ল্যাটটি স্ত্রী দোলনের নামে সাবকবলা রেজিস্টেশন করেও দেয় ওই প্রতারক। এরপর ফ্ল্যাটের গ্যাস, পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে প্রায় হয়রানি করে আসছিলেন এই দম্পতি। অবশেষে ওই ফ্ল্যাট মালিক হাসিনা ইকবাল উপায় না পেয়ে বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
ওই মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর বুধবার ঢাকা মহানগর আদালতে জামিনের জন্য গেলে আদালত এই দম্পতিকে প্রতারণার দায়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
বাড্ডা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান, শুধু ফ্ল্যাট মালিক হাসিনা ইকবালই নন, ওই ফ্ল্যাটে এই দম্পতির কারণে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন। মামলা করার পর থেকেই এই দম্পতি পলাতক ছিলেন। বুধবার তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ। তিনি আরও বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
ভুক্তভোগী ও মামলার বাদী হাসিনা ইকবাল বলেন, জাকি দোলন দম্পতি জায়ারা কমপ্লেক্স বসবাসকারী ফ্ল্যাট মালিক ও ভাড়াটেরা অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। ৬৮ লাখ ৬৮ হাজার ৮১৬ টাকা নগদ দিয়েও তাদের কাছ থেকে ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন নিতে পারিনি। উল্টো ওই ফ্ল্যাট জাকি তার স্ত্রী দোলনের নামে রেজিস্ট্রেশন করে দিয়েছে।
Leave a Reply