স্টাফ রিপোর্টার: গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি মিতালী ক্লাব জামে মসজিদের সেক্রেটারীর বিরুদ্ধে প্রতারণা করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সরলতার সুযোগ নিয়ে মাত্র দেড় লাখ টাকা দিয়ে ১৫ শতাংশ জমি আমমোক্তার পাওয়ার নামা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় কোটি টাকারও বেশি।
কে এই মিতালী ক্লাব জামে মসজিদের সেক্রেটারী ? গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি আমবাগ মিতালী ক্লাব এলাকার আছরউদ্দিনের ছেলে মোঃ রাসেল রানা (৩৪)। তিনি আমবাগ মিতালী ক্লাব জামে মসজিদের বর্তমান সেক্রেটারী।
এ ঘটনায় রাসেলের বিরুদ্ধে (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানায় ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাজীপুর সদর, বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী মোঃ লোকমান। এছাড়াও রাসেলকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ভূক্তভোগী লোকমান হোসেন অভিযোগে জানান, বাবা আলীমুদ্দীন হেবার ঘোষণা পত্র দলিল নং ৩৮৪৫, ০৫/০৭/২০২০ তারিখে কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ বাঘিয়া মৌজাস্থিত এস.এ ১৯৫ নং খতিয়ানভূক্ত সি.এস ও এস. এ ৯৯৯ নং দাগের কাতে ১৫ শতাংশ জমি তার নিজ নামে লিখে দেন।
পরবর্তীতে আর্থিক সমস্যার কারণে ভূক্তভোগী লোকমান হোসেন প্রতিবেশী আঃ রহিমের কাছে ৩-শতাংশ জমি বিক্রি করার জন্যে মৌখিক ভাবে দাম দর করে বায়না বাবদ ৮-লাখ ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন লোকমান। তার কয়েক মাস পরে আঃ রহিমকে জমি না দিয়ে টাকা ফেরৎ দেয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
আর এই দূর্বলতার সুযোগে প্রতারক রাসেল রানা তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে থাকেন। প্রতিবেশী আঃ রহিমের ৮-লাখ ৫০-হাজার টাকা পরিশোধ করে দিবে বলে জানায়। বিনিময়ে তাকে দেড় লাখ টাকা উৎকোচ দিতে হবে। তার এ শর্তে রাজি হয় সহজ সরল ভূক্তভোগী লোকমান হোসেন।
এরপর থেকেই রাসেল রানা শুরু করে দেন প্রতারণার খেলা। প্রথমেই তার কাছ থেকে প্রমাণ স্বরূপ আল-আরাফা ইসলামি ব্যাংক লিঃ ফুলবাড়িয়া শাখার দুই পাতা সাদা চেকে স্বাক্ষর নিয়ে তার হেফাজতে রেখে দেয়। কথাছিল সেই আঃ রহিম কে
৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা বুজিয়ে দিবেণ। অথচ সেই টাকা বুঝিয়ে না দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে। মসজিদের সেই সেক্রেটারী রাসেলের ব্যাংকের দুটি সাদা চেক নিয়ে আটক করে দ্বিতীয় কৌশল হিসেবে ভূক্তভোগী লোকমান হোসেনকে ৫ শতাংশ জমি তার নামে বায়না করে দিলেই সেই আঃ রহিমের পুরো টাকা পরিশোধ করে দিবে।
তখন ব্যাংকের দুটি সাদা চেকের পাতার কথা স্বরণ করেই লোকামান তার কথায় বিশ্বাস করে গেল ২০২০ সালের ২৬ আগস্ট গাজীপুর ২য় যুগ্ন-সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যান তিনি।
প্রতারণার তৃতীয় ধাপ হিসেবে ৫-শতাংশ জমি বায়না করার কথা থাকলেও সরলতার সুযোগ নিয়ে কৌশলে অপ্রত্যাহার যোগ্য আমমোক্তার পাওয়ার অব অ্যাটার্নি দলিল নং ৫০০২, ১৫ শতাংশ জমি প্রতারণা করে লিখে নেয় প্রতারক রাসেল রানা।
রাসেল রানা এই রিপোর্টারকে বলেন, বিষয়টি আদালতে মামলা প্রক্রিয়াধীন। দুই এক সপ্তাহের মধ্যে বিষয়টি সূরাহ হবে।
Leave a Reply