1. [email protected] : Dhaka Mail 24 : Dhaka Mail 24
  2. [email protected] : unikbd :
রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২১ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বেনাপোলে পৃথক অভিযানে ২০৯ বোতল ফেনসিডিল সহ আটক-১ বেনাপোলে সব গোয়েন্দা সংস্থার নজরদারি থাকা সত্বেও বোমা মজুদ থেমে নেই বেনাপোল স্থল বন্দর এলাকা থেকে একদিনের ব্যবধানে আবারো ২৩ বোমা উদ্ধার বেনাপোলে বোমা মজুদ রাখার অভিযোগে শ্রমিক সর্দার বাদল আটক আযুর্বেদিক প্রতিষ্ঠান আয়ুশ লিঃ এর মালিক মোস্তফা ও তার স্ত্রী কারাগারে বেনাপোল বন্দর এলাকায় মাটির নিচে থেকে উদ্ধার হলো তাজা ১৮ টি বোমা বেনাপোলে যশোর বøাড ফাউন্ডেশন এর তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে এপার বাংলা ওপার বাংলা সৌহার্দ সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে রাখি বন্ধন উৎসব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালীর সন্মান নিয়ে চিন্তা করতেন, বাঙালীর অধিকার নিয়ে চিন্তা করতেন ———আশরাফুল আলম লিটন বেনাপোলে ৩ কেজি স্বর্ন, প্রাইভেট কার  সহ আটক-৩

সাজেদা ছিলেন আ,লীগের দুর্দিনের কান্ডারি

  • প্রকাশিতঃ মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৭৯ বার পঠিত

এম. রানা: সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ছিলেন বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও জাতীয় সংসদের উপনেতা ছিলেন। সাজেদা পরিবেশ ও বনমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৪ সালে গ্রামীণ উন্নয়ন ও শিক্ষায় বিশেষ অবদানের রাখায় ইউনেস্কো ফেলোশিপ প্রাপ্ত হন এবং একই সময়ে তিনি বাংলাদেশ গার্ল-গাইড এসোসিয়শনের জাতীয় কমিশনার হিসেবে সর্বোচ্চ সম্মানসূচক সনদ সিলভার এলিফ্যান্ট পদক লাভ করেন সাজেদা চৌধুরী।

তিনি ২০০০ সালে আমেরিকান বায়োগ্রাফিক্যাল ইনস্টিটিউট কর্তৃক বর্ষসেরা নারী নির্বাচিত হন। ২০১০ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করেন।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী ১৯৩৫ সালের ৮ মে মাগুরা জেলায় মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সৈয়দ শাহ হামিদ উল্লাহ এবং মাতা সৈয়দা আছিয়া খাতুন। শিক্ষাজীবনে তিনি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর স্বামী গোলাম আকবর চৌধুরীও একজন রাজনীতিবিদ এবং সমাজ সংস্কারক ছিলেন। ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বর তার স্বামী মৃত্যুবরণ করেন। তাঁদের রয়েছে তিন ছেলে ও এক মেয়ে।

১৯৫৬ সাল থেকে সাজেদা চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৬৯-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৭০-এর নির্বাচনে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংসদ নির্বাচনেও তিনি জয়লাভ করেন।

১৯৭১ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে তিনি কলকাতা গোবরা নার্সিং ক্যাম্পের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ছিলেন। ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে তিনি বাংলাদেশ নারী পুনর্বাসন বোর্ডের পরিচালক, ১৯৭২-১৯৭৬ সময়কালে বাংলাদেশ গার্ল গাইডের জাতীয় কমিশনার ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা-ের পর ১৯৭৬ সালে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাজেদা।

১৯৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। ১৯৯১ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

১৯৮৬ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত পার্বত্য চট্রগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়কের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে টেকনোক্যাট কোটায় বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়।

২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে, তিনি ফরিদপুর (ফরিদপুর-২) নগরকান্দা, সালথা ও সদরপুরের কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন) থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। দশম ও একাদশ সাধারণ নির্বাচনেও তিনি এ জেলা থেকেই আবারো নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের উপনেতা হন। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালেও তিনি একই পদ অলংকৃত করেন।

২০০৮ সালের ১০ই জুলাই দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাজেদা চৌধুরীর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ দাখিল করে। তবে ওই মামলা থেকে মুক্তি পান।

তিনি দুর্নীতির এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। ২০০৮ সালের ১৮ই নভেম্বর বাংলাদেশ হাইকোর্ট মামলাটি স্থগিত করে, পরবর্তীতে ২০১০ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আবারও মামলাটি উজ্জীবিত হয়। হাইকোর্ট তাঁকে জামিন দেন। ২০১০ সালের ২৯শে নভেম্বর হাইকোর্ট মামলায় চৌধুরীর বিরুদ্ধের অভিযোগ সুসংগঠিত না হওয়ায় মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

সাজেদা চৌধুরী বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি হন ও সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় গেল ১১ সেপ্টেম্বর রোববার রাত ১১টা ৪০ মিনিটে তিনি সেখানেই মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমীক, দেশে ও সমাজের প্রতি রয়েছে তাঁর অনেক অবদান। তাই জাতি তাঁকে সবসময় স্বরণ করবে। তাঁর মৃত্যুতে ফরিদপুর-২ নগরকান্দা, সালথা, সদরপুর ও কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন বাসীর অপূরণীয় ক্ষতি হলো। তথ্য সংগ্রহ উইকিপিডিয়া, এম রানা


শেয়ারঃ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় অন্যান্য সংবাদ
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২২ Dhaka Mail 24
Developed By UNIK BD