আশানুর রহমান আশা বেনাপোল-যশোরের বেনাপোলের রঘুনাথপুর সীমান্তের ভারত সংলগ্ন কাটাতারের নিকট থেকে এক অচেনা ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তাঁর আনুমানিক বয়স (৪০) বছর হবে।
মঙ্গলবার সকাল ৯ টার দিকে রঘুনাথপুর সীমান্তের এমপি ২০-১৩টি পিলার হতে আনুমানিক ভারত সীমান্ত থেকে ১৫ গজ বাংলাদেশ সীমান্তর অভ্যান্তর খালপাড় থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় ওই লাশ উদ্ধার করা হয়।
এসময় তাঁর গায়ে একাধিক আঘাতের চিহৃ এবং দুই পা বাঁধা রয়েছে। তাকে কে বা কারা হত্যা করেছে। তবে অভিযোগের তীর বিএসএফ এর দিকেই। ঘটনাস্থলে যশোর নাভারন সার্কেল এ এসপি জুয়েল ইমরান ও যশোর ৪৯ বিজিবির উপ-পরিচালক সাজ্জাত হোসেন পরিদর্শন করেছেন।
অপরপ্রান্তে বিএসএফ এর টহল দল তাঁদের সড়ক থেকে নেমে এসে লাশটির ২০ গজের মধ্যে টহল দিচ্ছে অস্ত্র হাতে নিয়ে।
স্থানীয় সিরাজুল হক বলেন, অচেনা ব্যক্তিটির গায়ে কয়েকশত লাঠির আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাঁকে বেধড়ক ভাবে পিটিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ হত্যা করতে পারে।
কারণ সীমান্তঞ্চলে এটা কোন নতুন ঘটনা নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রঘুনাথপুরের একাধিক মানুষ জানিয়েছেন, উদ্ধারকৃত মরদেহটি অপরিচিত। সে কিভাবে এখানে আসল। এছাড়া কাটাতারের জন্য এ পথে এখন চোরাচালানি ও কম।
এছাড়া মৃত ব্যক্তি একা একা এই দুর্গম এলাকায় এসে চোরাচালানি পণ্য পাচার করাও তাঁর পক্ষে সম্ভব না।
বাংলাদেশ সীমান্তর দিক থেকে ধান ক্ষেতের ভিতর দিয়ে কে বা কারা তাকে পায়ে দড়ি বেঁধে টেনে এনে ও হত্যা করতে পারে বলে তাঁরা মন্তব্য করে। কারণ পাশ্ববর্তী গ্রাম সাদিপুর সীমান্তর দিয়ে অনেক সময় হুন্ডি পাচারের টাকা ও স্বর্ণ পাচারের টাকা লেন দেন হয়ে থাকে।
এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও টাকা আতœসাৎ করার জন্য তাঁকে কেউ হত্যা করতে পারে।
আবার ভারতের বেহরা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা ও তাঁকে পিটুনি দিয়ে হত্যা করে বাংলাদেশ সীমান্তে মধ্যে ফেলে রাখতে পারে। ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-পরিচালক সাজ্জাত হোসেন বলেন, কি ভাবে কারা তাকে হত্যা করা হয়েছে এই মুহুর্তে বলা যাবে না। এটা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে, কর্নেল সাহেদ মিনহাজ সিদ্দিকি বলেন, আমরা বিএসএফ এর সঙ্গে কথা বলেছি তাঁরা ওই ব্যাক্তিকে হত্যা করে নাই।
এটা তদন্ত করে জানতে হবে। যশোর নাভারন সার্কেল এ এসপি জুয়েল ইমরান বলেন, এই মুহুর্তে কিছু বলা যাবে না। লাশ ভারত সীমান্তের নিকট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্টের জন্য যশোর মর্গে পাঠানো হয়েছে। আশানুর রহমান আশা।
Leave a Reply