এম রানা:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাছিরউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে কোনাবাড়ি থানায় এক নারী অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর নাম মোছাঃ আয়েশা সিদ্দিকা। তিনি দাবী করছেন যে, কোনাবাড়ি এলাকার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাছিরউদ্দিন মোল্লার দ্বিতীয় স্ত্রী সে।
বৃহস্পতিবার রাতে (১৫ সেপ্টেম্বর) কোনাবাড়ি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন আয়েশা সিদ্দিকা।
থানার অভিযোগ সূত্র জানায়, গেল-৬ জুন (২০২২ই) পারিবারিক ভাবে কাউন্সিলর নাছিরউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে তাঁর ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ৫ লাখ টাকায় কাবিন মূলে বিবাহ হয়।
বিবাহের পর থেকে কাউন্সিলর নাছির মোল্লা তাঁর নিজ বাড়িতে না নিয়ে বিয়ের পুরো ঘটনাটি গোপন রেখে ওই নারীর বাবার বাড়িতেই স্ত্রীকে রেখে দেয়।এরপর থেকে নাছির তাঁকে পুরোপুরি স্ত্রীর মর্যাদা না দিয়ে মাঝের মধ্যে ওই নারীর কাছে গিয়ে রাত্রী যাপন করেন। নাছির তাঁকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে বাড়িতে না নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে মেলামেশা করে বলে ওই নারী অভিযোগ করেন।
অভিযোগে আরো জানায়, বিবাহের পর থেকেই কারণে-অকারণে মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভাষায় বকাঝকা ও ঝগড়াসহ তালাক দেয়ার হুমকী দেন কাউন্সিলর নাছির।
আজ ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাছির তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশাকে মোবাইল ফোনে কোনাবাড়ি পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় দেখা করতে বলেন নাছির মোল্লা।
নাছিরের কথামত ওই আয়েশা কোনাবাড়ি পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় আসলে অচেনা একটি গ্যারেজে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কয়েকটি চর-থাপ্পর মারতে থাকে কাউন্সিলর নাছির।এসময় ওই মহিলার ডাক চিৎকার শুনে আশে-পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পরে কাউন্সিলর নাছির চলে যায়।
আয়েশার অভিযোগ, বিবাহের পর থেকে দুই-তিন সপ্তাহ পর পর কাউন্সিলর নাছির তাঁর বাসায় এসে মেলামেশা করে চলে যেতেন। এসবের প্রতিবাদ করলে নাছির তাঁর স্ত্রী আয়েশাকে সবকিছু ঠিকঠাক করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধৈর্য ধরতে বলেন।
ওই নারী আরো বলেন, আমাকে বিবাহ করার পরেও অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা করে নাছির কাউন্সিলর। তিনি জানান, টাঙ্গাইলের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গেও দীর্ঘদিন ধরে মেলামেশা করে আসছে এবং তাঁর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে চলে নাছির। জানা গেছে, প্রবাসীর ওই স্ত্রী না কি একজন বিউটি পার্লারের ব্যবসায়ী।
তিনি মোবাইল ফোনে আরো অভিযোগ করে বলেন, আমি নাছিরকে কালিয়াকৈর এলাকার আনন্দ পার্ক, সালনার পার্কসহ অনেকগুলো রিসোর্টে গিয়ে নিজ হাতে স্ত্রী ছাড়াও অন্যান্য নারীদের সঙ্গে মেলামেশা করতে দেখেছি।
আয়েশা বলেন, বেশ কয়েক মাস পূর্বে বাসন থানার একটি ধর্ষণ মামলার আসামি ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নাছির মোল্লার এলাকায় বসবাস করতো। সেই ধর্ষকদের বিরুদ্ধে বিচার দিতে এসে নাছিরের সঙ্গে পরিচয় হয়। এরপর থেকে নাছির তাঁর পিছ না ছেড়ে নানা প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে বিবাহ করে। বিবাহের পর থেকে নানা ভাবে ঝামেলা করছে বলে জানান তিনি।
কোনাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, কাউন্সিলর নাছির মোল্লার বিরুদ্ধে এক নারী থানায় এসে অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে তা ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে কাউন্সিলর নাছিরউদ্দিন মোল্লার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
Leave a Reply