নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
শার্শার স্বর্ণ ছিনতাই কারীর গড ফাদার জাহাঙ্গীর প্রায় ৩২ কোটি টাকার স্বর্ণ ছিনতাই করে শালিশ বৈঠকে সাবেক এক জনপ্রতিনিধি ও বিএনপি ঘরোনার নেতাদের ম্যানেজ করে মাত্র ৫ কোটি টাকায় আপোশ মিমাংসা করায় জন মনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ছিনতাইয়ের গড ফাদার জাহাঙ্গীর ডিবি পুলিশের পোশাক ও অস্ত্র নিয়ে স্বর্ণ লুট করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ায় নানা আলোচনা সমালোচনা ও গুঞ্জন চলছে সে কিভাবে দাপটের সাথে প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এলকায় স্বর্ণ খেকো নামে প্রচার জাহাঙ্গীর ওরফে কালা জাহাঙ্গীর বাংলাদেশ জাতিয়তাবাদী ( বিএনপি) রাজনীতির সাথে জড়িত। সরকার যখন চোরাচালান জঙ্গী দমনে ব্যস্ত ঠিক সেই সময়ে এই জাহাঙ্গীর তার ড্রাইভার ও সেকেন্ডইন কমান্ড জুলুকে দিয়ে ছিনতাই করে। প্রশ্ন উঠেছে যে সব পোশাক এবং অস্ত্র সে ব্যবহার করে তা একমাত্র সরকারী ডিবি পুলিশের পোশাক। এ সব কোথা থেকে জাহাঙ্গীর ম্যানেজ করে।
জাহাঙ্গীর বাগআঁচড়া এলাকার মান্নানের ছেলে মিরাজকে দিয়ে স্বর্ণ বহন করিয়ে যশোরে তাকে ফাঁসিয়ে দেয়। এ ফাঁসানোর ও উদ্দেশ্য ছিল সে ঢাকা থেকে যে মহাজনের স্বর্ণ নিয়ে বেনাপোল আসছিল সেই মহাজনের স্বর্ণ ছিল মিরাজ হোসেনের কাছে ৬০ পিছ। আগেই সে তার বাহিনী প্রধান জুলু ও ড্রাইভার জাহাঙ্গীরকে দিয়ে ছিনতাই করে ২৭ পিছ সরিয়ে বাকি ৩৩ পিছ প্রশাসনের লোক দিয়ে ধরিয়ে দেয় বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে। প্রায় ২ বছর গত হতে গেল মিরাজ জেল থেকে খালাশ না পাওয়ায় তার পরিবার পরিজন অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছে বলে তার পিতা মান্নান জানায়। মিরাজের স্ত্রী তৃপ্তি বলে আমার স্বামী জেল খানায় যাওয়ার পর আমি পিতার বাড়িতে আমার সন্তানকে নিয়ে আছি। তবে যার স্বর্ণ সে বহন করছিল সে খরছ খরছা দেয় না বলে জানায়। কার স্বর্ণ জানতে চাইলে সে নাম প্রকাশ করতে ভয় পায় বলে জানায়।
এদিকে জাহাঙ্গীর সিনিন্ডকেটের ৪৪ কেজি স্বর্ণ নাটকিয় ভাবে জাহিদ হোসেন আটক হওয়ার দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তার জামিনের কোন ব্যবস্থা জাহাঙ্গীর না করার অভিযোগ তুলেছে জাহিদ এর পরিবার।
স্থানীয় বাগআঁচড়া ইউনিয়ন এর সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতার ভাই বাবু চেয়ারম্যান এর বাড়ি বিচারে বসলে জাহাঙ্গীর তার স্বর্ণ ছিনাতাইয়ের ফিরিস্তি দিতে বাধ্য হয়। সে ১৮ সেপ্টেম্বর ডিবি পরিচয় দিয়ে স্বর্ণ ছিনতাই করে। এছাড়া নড়াইল, মনিরামপুর, ঝিকরগাছা থানার লাউজানি এলাকায় ও সে ২২ কোটি টাকার স্বর্ণ ছিনতাই করার কথা শিকার করে। এরপর সব মিলে তাকে ৫ কোটি টাকা জরিমানা দেওয়ার কথা শালিশে মিমাংসা হয়। যা গত ২৬ তারিখে পরিশোধ করে বলে সুত্র মতে জানা গেছে। তবে যারা শালিশ বৈঠকে ছিল তারাও একটি অংশ পেয়েছে বলে সুত্র দাবি করে।
এদিক স্বর্ণ চোরাচালান ও ছিনতাইকারী জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করে জেল হাজাতে পাঠানোর জোর দাবি জানিয়েছে বাগআঁচড়া এলাকার আলতাফ হোসেন, মুজিবুর রহমান, শরিফুল ইসলাম ছাড়া আরো অনেকে।
গত তিন বছরে জাহাঙ্গীর মাঠে শতাধিক একর জমি একটি ৫তলা বাড়ি সহ কয়েকটি বাড়ি , গরুর খামার, ছাগল ভেড়ার খামার সহ যশোর ঢাকায় নামে বেনামে সম্পদ এর পাহাড় গড়ে তুলেছে বলে সুত্র জানায়। সুত্র দাবি করে বলে এলাকায় তালাশ টিম এর সদস্যরা সরেজমিনে জাহাঙ্গীরকে নিয়ে প্রতিবেদন তৈরী করে ইলিক্ট্রিক মিডিয়ায় ধারবাহিক ভাবে প্রচার করলে এরকম কাজের সাথে যারা জড়িত তার হয়ত সতর্ক হয়ে যাবে এবং এরকম অপকর্ম থেকে দুরে থাকবে। সেই সাথে প্রশাসন ও নড়ে চড়ে বসবে।
শার্শার জামতলা গ্রামের সামাদ শেখ জানায় এ পর্যন্ত পুটখালী ও কায়বা সীমান্ত দিয়ে যত স্বর্ণ পাচারের সময় ছিনতাই হয়েছে সবই জাহাঙ্গীর ওরফে কালা জাহাঙ্গীর নেতৃত্বে।
বিষয়টি জানার জন্য জাহাঙ্গীর এর ০১৭১৬-১১৭১৬২ নাম্বারে ফোন করলে সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানান।
এলাকবাসি দ্রুত বিষয়টি আইন শৃঙ্খলা বাহিনিকে দেখার জন্য জোর দাবি জানায়।
Leave a Reply