এম রানা:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কোনাবাড়ি এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাছির উদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে এবার মারপিটসহ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তোলপাড়।
এ ঘটনায় গেল শুক্রবার রাতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগকারী কোনাবাড়ি এলাকার ছিন্নমূল হর্কাস সমিতির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম (৫৬)।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানায়, নগরীর ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাছিরউদ্দিন মোল্লা ঠকবাজ ও প্রতারক । প্রায় ২১ মাস পূর্বে কোনাবাড়ি ছিন্নমূল হকার্স সমিতি রেজিস্ট্রেশন করে দেয়ার কথা বলে হকার্সদের কাছ থেকে নগদ ৩০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন।
ছিন্নমূল হকার্সদের কাছ থেকে টাকার নেওয়ার প্রায় দুই বছর পার হলেও সমিতি রেজিস্ট্রেশন না করে দিয়ে তালবাহানা করতে থাকে এবং ওই টাকা আত্মসাৎ করেন কাউন্সিলর নাছির।
এরপর গেল ২৬ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত ৮টার দিকে ওই কাউন্সিলরের মোবাইল ফোনে ছিন্নমূল হকার্স সমিতির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম সমিতি রেজিস্ট্রেশনের ব্যাপারে অনুরোধ করেন এবং তাগাদা দেন।
নাছিরের কাছে ফোনে রেজিস্ট্রেশন করে দেয়ার কথা বলা মাত্রই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে তখন কোনাবাড়ি রিফুজিপাড়ায় অবস্থিত তাঁর বাড়িতে আসতে বলেন হকার্স সমিতির সভাপতিকে।
পরবর্তীতে ওই কাউন্সিলর কথামত ছিন্নমূল হকার্স সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম ও তাঁর সঙ্গে থাকা একই সমিতির সাবেক সেক্রেটারী মোঃ ইউসুফ আলী (৬৭) কে সঙ্গে নিয়ে ওই জনপ্রতিনিধির বাড়িতে যান তাঁরা।
এরপর তিনি (নাছির) রেজিস্ট্রেশন করে দিতে পারিবে না বলে তাঁদের (হকার্স)দের জানায়।
যেহেতু ওই কাউন্সিলর সমতিরি রেজিস্ট্রেশন করে দিতে পারবে না তাই তাঁরা (হাকর্স) নাছির মোল্লার নিকট তাঁদের পাওনা সমিতির ৩০ হাজার টাকা ফেরৎ চান।
টাকা চাওয়া মাত্রই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে নাছির । পরে উত্তেজিত হয়ে কিশের টাকা বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে এবং সাবেক সেক্রেটারি মোঃ ইউসুফ আলী কে এলোপাথাড়ি কিলঘুষি ও লাথি মারিতে থাকে।
এছাড়াও তাঁদেরকে দেখে নিবে বলে হুমকী, ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করা করা হয়।
হুমকি প্রদান করার পরেও নাছিরউদ্দিন মোল্লা আরো ৩ লাখ টাকা চাঁদাদাবী করেন বলে অভিযোগে জানায়। আর এ বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করা হলে নজরুল ইসলামসহ সাবেক সেক্রেটারি কে প্রাণ নাশের হুমকীসহ খুন করে লাশ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দেয়া হবে। তাই তাঁরা নিরুপায় হয়ে বিচার চেয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবগত করার পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ দয়ের করেছেন।
এ নিয়ে তিন সপ্তাহের মাথায় কাউন্সিলর মোঃ নাছিরউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে কোনাবাড়ি থানায় দুইটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে তাঁর তৃতীয় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা স্ত্রীর মর্যাদা পেতে অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ নাছিরউদ্দিন মোল্লার সঙ্গে তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
গাজীপুর মেট্রাপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সিদ্দিক জানান, কাউন্সিলর নাছিরের নামে একটি অভিযোগ হয়েছে, তবে তদন্ত চলছে । প্রতিবেদন: এম রানা।
Leave a Reply