নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তাঁর জীবনে- যৌবনে চার হাজার ছয়’শ বিরাশি দিন তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। বার বার তিনি মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারে হত্যা করে জিয়াউর রহমান দীর্ঘ ৬ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলেন।
জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন মুক্তিযোদ্ধা, জিয়াউর রহমান ছিলেন একজন সেক্টর কমান্ডার। কিন্তু আসলে কি ধরণের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন তা আপনাদের চিনতে হবে, জানতে হবে।
জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধার নামে ছিলেন পাকিস্তানিদের এজেন্ট। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধা হিসেবে আইএসের এজেন্ট হিসেবে ১০ বছর চাকুরী করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলন ঠিক কিন্তু তিনি ছিলেন পাকিস্তানীদের এজন্টে।
জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে তিনি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ১২ হাজার সেনা অফিসারদের বিনা অপরাধে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছেন।
জিয়াউর রহমান আসলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না, তিনি ছিলেন পাকিস্তানীদের এজেন্ট।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি ডিগ্রি কলেজ মাঠে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এম.পি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০১ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসে কি করেছে। আওয়ামী লীগ নামক এই দলটিকে নিঃচিহ্ন করার জন্য আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। পিতার সামেন পুত্রকে হত্যা করেছে, মায়ের সামনে কন্যাকে ধষর্ণ করা হয়েছে। একটি না দুটি না হাজার হাজার ঘটনা ঘটেছে। আপনারা নিশ্চয় জানেন মুজুরুল ইসলাম ইমাম খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতিকে তাঁর বাড়ির সামনে কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নাটোরে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ উদ্দিন, গাজীপুরে আহসান উল্লাহ মাস্টার, সিলেটে শাহ্ এসএম কিবরিয়াসহ দেশের হাজার হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা করেছিল বেগম খালেদা জিয়া।
মির্জা আজম বলেন, আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য তাঁর সমাবেশে গ্রেনেড হামলা করেছিল বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। তাঁরা জঙ্গীবাদের রাষ্ট্র হিসেবে দেশ উপহার দিয়েছিল, বাংলা ভাই তৈরি করেছিল।
আওয়ামী লীগের ওই নেতা আরো বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা ছিলেন একাত্তরের রাজাকার। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিনি নিজেও ছিলেন রাজাকার। তিনি ভারতে গিয়েছিলেন কিন্তু ভারতের মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে বিশ্বাস করে নাই। তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছিল। তাঁর গতিবিধি লক্ষ রাখা হচ্ছিল।
তিনি বলেন, চট্রগ্রামে গত পরশুদিন বিএনপি মহাসমাবেশ করেছেন। সেই সমাবেশে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে তাঁর বক্তব্যে একাত্তরের রাজাকারদের স্লোগান দিয়েছে নারায়ে তাকবীর আল্লাহ আকবার। আর সমস্ত বিএনপি নেতারা সেই স্লোগানে অংশগ্রহণ করেছেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা ছিলেন একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার। মির্জা ফখরুল নিজেও একাত্তরে ভারতে গিয়েছিলেন কিন্তু ভারতের মুক্তিযোদ্ধারা তাঁকে বিশ্বাস করে নাই। তাঁকে আটক রাখা হয়েছিল, তাঁর গতিবিধি লক্ষ রাখা হচ্ছিল। তাঁকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ বা ট্রেনিং কিছুতেই অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হয়নি। তাঁর পিতা ১৬ ডিসেম্বরের পর দেশে থাকতে পারে নাই। ভারতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। ১৯৭৫ সালের পর দেশে এসেছিল।
মির্জা আজম এমপি বলেন, আজ বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ষড়যন্ত্র করছে, চক্রান্ত করছে একাত্তরের রাজাকারেরা। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ অর্ধেকরও বেশি বাড়িঘর কুঁড়েঘর ছিল। আজকের বাংলাদেশে যদি পত্রিকার বিজ্ঞাপণও দেওয়া হয় তবুও মিউজিয়ামে রাখার জন্য একটি কুঁড়েঘর পাওয়া যাবে না।
গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আসাদ উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ্ব আ ক ম মোজাম্মেল হক (এমপি), বাংলাদেশ আ.লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এম.পি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, গাজীপুর মহানগর আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল প্রমুখ।
Leave a Reply