মোঃ কামাল উদ্দিন, কক্সবাজার সংবাদদাতা:
মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন, ছিনতাই, চুরি, অপহরণ, মারপিটসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে
চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের উত্তর ঘূণিয়া এলাকার মৃত কবির আহমেদের ছেলে মোহাম্মদ আরাফাতের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, তিনি একজন পেশাদার ছিনতাই, অপহরণ ও কিশোর গ্যাংয়ের নেতৃত্বে দানকারী (লিডার)। লিডার।
আরাফাতের কিশোর গ্যাংয়ে দলে রয়েছে ১০-১৫ জন সদস্য। তাঁর গ্যাংয়ের সকল সদস্যরা মাদক, চুরি, ছিনতাই, মারামারি ও অপহরণের মত জঘন্যতম কাজে জড়িত।
আরাফাতের অপকর্মে দিশেহারা ফাঁসিয়াখালীসহ আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা। তাঁর বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি অপহরণ মামলাও রয়েছে।
চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে আরাফাতের অপরাধ সাম্রাজ্য। চকরিয়া পৌরশহরের শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাস টার্মিনাল থেকে জনতা মার্কেট পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত আশপাশের এলাকায় অহরহ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ওই সব ছিনতাইয়ের ঘটনা না কি তাঁর নেতৃত্বেই হয়।স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি আরাফাত কয়েক বছর ধরে এই পৌরশহরে শতাধিক ছিনতাই ও অপহরণের ঘটনা করেছে।
তাঁরই ধারাবাহিকতায় গেল ১৪ অক্টোবর রাত পৌণে ৮টার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের জনতা মার্কেট পুরাতন বাস টার্মিনাল এলাকায় কিশোরগ্যাং লিডার আরাফাতের নেতৃত্বে ৪-৫ জনের একটি কিশোর চক্র কুষ্টিয়ার দৌলতপুর তারাবনিয়া এলাকার মনিরুজ্জামান নামের এক ব্যবসায়ীকে হানিফ পরিবহনের টিকেট কাউন্টার থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় দেশীয় অবৈধ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত ভাবে আক্রমণ করে।
তাঁকে ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক জনমনে আতংক সৃষ্টি করে ঝাপটা মেরে তাঁর বাম হাতে থাকা ১টি ওয়ালটন এনড্রয়েট মোবাইল সেটসহ নগদ টাকা এবং তার বাম কাধে থাকা চামড়ার ব্যাগ নিয়ে নেয়।
পরে ওই ব্যক্তি চিৎকার করলে আরফাতের নেতৃত্বে থাকা কিশোরগ্যাং চক্রের সদস্যরা তাঁকে আরো মারধর করে এবং জোরপূর্বক একটি অজ্ঞাত নাম্বারের গাড়ীতে উঠানোর চেষ্টাকাল করে।এ সময় ষ্টেশনের লোকজন এগিয়ে আসলে কিশোরগ্যাং লিডার আরাফাতসহ অন্যান্যরা পালিয়ে গেলেও নিশাদুল ইসলাম নিশাত নামের এক কিশোরগ্যাং সদস্যকে আটক করে থানা সোপর্দ করে।
পরে মোঃ মনিরুজ্জামান বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এঘটনায় অন্যান্য কিশোর গ্যাং সদস্যরা হলেন, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শামসুল হকের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত রানা, মোঃ আইয়ুব।
উল্লেখ্য: এ ঘটনার পর সাংবাদিকরা মনিরুজ্জামানকে অপহরণ চেষ্টাকালে ধারণকৃত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করলে কিশোরগ্যাং চক্রের লিডার আরাফাত সাংবাদিকদের নামে কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে একটি স্ট্যাটাস দেয় এবং সাংবাদিককে মারধর করা হুমকি দিয়ে আসছে। হুমকীর ব্যাপারে চকরিয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।
Leave a Reply