এম রানা: তথাকথিত সাংবাদিক (নাম ও কার্ডধারী) আব্দুল ওহাব রিংকু (৪৮)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা থানার বালিখাঁ গ্রামের মৃত উমেদ আলীর ছেলে।
রিংকু গাজীপুর সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব নামক একটি ভুয়া প্রেসক্লাব অফিস খুলে দীর্ঘ দিন যাবৎ সাংবাদিক পরিচয়ে গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে আসছে বলে একাধিক সূত্রে জানায়। তিনি ওই ভুয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি।
তাঁর নামে বেশ কয়েকটি মামলার ওয়ান্টে রয়েছে। তার মধ্যে একটি কালিয়াকৈর থানার চাঁদাবাজি অপরটি ঢাকার অর্থঋণ খেলাপির মামলা।কালিয়াকৈর থানার চাঁদাবাজি মামলায় তাঁকে গাজীপুরের বাসন এলাকা থেকে কোনাবাড়ি থানা পুলিশ আটক করে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি) কোনাবাড়ি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ইমতিয়াজ জানান, রিংকুর নামে দুইটি মামলা রয়েছে একটি কালিয়াকৈর থানার চাঁদাবাজি অপরটি ঢাকার অর্থঋণ খেলাপি মামলা।
ময়মনসিংহ তারাকান্দা থানা থেকে তাঁকে গ্রেফতারের জন্য কোনাবাড়ি থানায় রিকোজিশন পাঠানো হয়েছে তাঁকে গ্রেফতার করার জন্য। তাই বৃহস্পতিবার সকালে বাসন এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশের ওই এসআই আরো জানান, তিনি বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত ।তাই তিনি এক এক সময় এক এক এলাকায় বসবাস করতো।
এলাকাবাসির অভিযোগ: দীর্ঘ দিন ধরে রিংকু নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক, কখনো গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি, কখনো জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য, আবার কখনো নিজেকে গ্যাস অফিসের লোক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে জাঁদাবাজিসহ প্রতারণা করে আসছে।
একটি সূত্রে জানায়, গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় গাজীপুর সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব নামক একটি ভুয়া প্রেসক্লাবের অফিস খুলে পুরো গাজীপুরের বাসা-বাড়ির অবৈধ গ্যাস লাইন থেকে চাঁদাবাজি করে আসতো।
ভুয়া এই সাংবাদিকের অত্যাচারে গাজীপুরের বাসন, কোনাবাড়ি, কাশিমপুরসহ কালিয়াকৈরের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ জনতা অতিষ্ঠিত হয়ে পড়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নগরীর জরুন এলাকার এক বাসিন্দা জানান, রিংকু নিজেকে বড় মাপের সাংবাদিক সেজে অবৈধ গ্যাস লাইন থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকার চাঁদাবাজি করতো। টাকা না দিলেই গ্যাসের লোকজন ডেকে ভয় দেখানো হতো লাইন কাটা হতো। তিনি বলেন, তাঁর অত্যাচারে সাধারণ মানুষ খুবই ভয়ে থাকতো। প্রতিবেদক: এম রানা।
Leave a Reply