ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়ার নেতৃত্বে একটি শোক র্যালী ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
র্যালীতে শিক্ষক সমিতি, গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদ, বঙ্গবন্ধু কর্মকর্তা পরিষদ ও বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ পুষ্পার্ঘ নিবেদন করে। পুষ্পার্ঘ শেষে বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ গিয়াসউদ্দীন মিয়া। তিনি বলেন, বাঙালী জাতিকে নেতৃত্বশূন্য ও মেধাশূন্য করার জন্য অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও এদেশীয় দোসররা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মম ও পৈশাচিকভাবে হত্যা করে। তৎকালীন পাকিস্তানী রাজনীতিবিদ ও সামরিক বাহিনী বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করার জন্য চূড়ান্ত বিজয়ের ঠিক পূর্ব মূহূর্তে এই পরিকল্পিত হত্যাযজ্ঞ ঘটায়।
বুদ্ধিজীবীসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটানোর জন্য পাকিস্তানকে বাঙালী জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য তিনি জোর দাবি জানান। আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর তোফায়েল আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এম. ময়নুল হক, এবং ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান প্রমূখ।
বাদ যোহর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত, দেশ-জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসের সকল কর্মসূচিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রেজিস্ট্রার, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
Leave a Reply