যে নেতৃত্ব সকাল থেকে রাত অবধি সম্পদ আহরনে ব্যাস্ত থাকে সেই নেতৃত্ব আর যাই হোক সমাজ ও দেশ গঠনে ভুমিকা রাখতে পারে না
– —— আশরাফুল আলম লিটন
আশানুর রহমান আশা বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেছেন, যে নেতৃত্বে শার্শার আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম এর শিকার আমরা সেই নেতৃত্বের পরিবর্তন পরিবর্ধন চাই। যে নেতৃত্ব সকাল থেকে সম্পদ আহরনে ব্যাস্ত থাকে সেই নেতৃত্ব আর যাই হোক সমাজ ও দেশ গঠনে ভুমিকা রাখতে পারে না। আজ শার্শায় পরিচালিত হচ্ছে ভুল মানুষের রাজনীতি। এই ভুল রাজনীতির কারনে একের পর এক শার্শায় কমপক্ষে ৭২জন নেতা কর্মী খুন হত্যার শিকার হয়েছে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃত আওয়ামীলীগের নেত্বত্ব আওয়ামী পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে উন্নয়ন এর অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বিএনপির অরাজনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ, সরকারের উন্নয়ন মানুষের মাঝে প্রচার এবং আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতা কর্মীদের প্রস্তুতি বিষয়ক মতবিনমিয় সভায় সভাপতির বক্তব্য এসব কথা বলেন আশরাফুল আলম লিটন।
মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার সময় শার্শা উপজেলা অডিটরিয়মে বিএনপি জামাতের অরাজনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ, সরকারের উন্নয়ন মানুষের মাঝে প্রচার এবং আগামি জাতিয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় নেতা কর্মীদের প্রস্তুতি বিষয়ক মত বিনময় করেন উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন এর নেতা কর্মীদের সাথে।
মত বিনিময় সভার সভাপতির বক্তব্য সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন বলেন,আজ শার্শা মানুষ তথা প্রকৃত আওয়ামীলীগের মানুষ জিম্মি হয়ে আছে । এরা বিভিন্ন মামলা হামলা সহ নানা অত্যাচার নির্যাতনে জর্জরিত। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে আরো গতিশীল করতে শার্শার যে সব আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা তাদের নিজ জমি দিয়েছে স্কুল কলেজ বানানোর জন্য। সেই সব নিবেদিত আওয়ামী নেতা কর্মীদের ওই সকল প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দিয়েছে একজন ভুল রাজনৈতিক নেতৃত্ব। আমাদের এসকল অপশক্তি এবং ভুল রাজনীতিকে পরিবর্তন করতে সকল ইউনিয়ন এর নেতা কর্মীদের একতা বদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে। জাতির জনকের কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আরো জনপ্রিয়তার লক্ষে এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা জাতির জনকের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে এগিয়ে যেতে হবে। কোন অন্যায় অত্যাচার জুলুম বাজদের কাছে মাথা নত না করে গর্জে উঠতে হবে। আজ ওই সকল দানবদের অত্যাচারে একে একে এই জনপদের অনেক নেতা কর্মী অত্যাচার নির্যাতন ও খুন হত্যার শিকার হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগামি দিনের যে নির্বাচন হবে সে নির্বাচন হবে এক যুদ্ধ। আর এই যুদ্ধর সৃষ্টি করছে জামাত বিএনপিরা। তাই একে মোকাবিলা করতে আমাদের শক্তি সাহস যোগাতে হবে। আজ যে সব ইউনিয়ন জনপ্রতিনিধিরা লাভের জন্য এক প্লাট ফর্ম থেকে অন্য প্লাট ফর্মে যাচ্ছেন তারা ভুল করছেন। কারন এসকল জনপ্রতিনিধিরা এই প্লাট ফর্ম থেকে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। সামান্য অর্থের জন্য ভুল পথে পা বাড়াচ্ছেন তারা আবার ওই নেতা থেকে ছিটকে পড়বেন। তাই লোভ লালসা থেকে বিরত থেকে আপনারা কাজ করে যান । এর আগেও প্রমান আছে ওই নেতার অত্যাচারে অনেকে ছিটকে পড়েছে।
তিনি ১১ টি ইউনিয়ন এর নেতাদের উন্মুক্ত আলোচনায় শার্শার বিভিন্ন মানুষের অত্যাচার মামলা হামলার অভিযোগ শোনেন । তাদের নির্যাতন করেছে নিজ দলের নেতা কর্মীরা। এসব অভিযোগে তিনি বলেন, শার্শার সকল নেতা কর্মীদের ছেড়ে আমি ভাল জায়গায় বসবাস করতে পারতাম। কিন্তু কেন যায়নি আপনারা জানেন, আপনাদের মুখ যখন দেখি তখন হৃদয়টা কেদে উঠে। তাই কোন দিন আপনাদের ছেড়ে কোথাও যাব না। আপনাদের জুলুমবাজদের হাত থেকে উদ্ধার করে সন্মান মর্যদায় বসবাসের জায়গা করে দিয়ে তবেই আমি পরিত্রান চাইব। আপনাদের সাথে আমি ওই সব জুলুম বাজদের প্রতিবাদ করে একসময় সঠিক জায়গায় পৌছায় যাব। আমাদের পুর্বপুরুষরা যে ভাবে অপমান অপদস্ত হয়েছে সেই পুর্ব পুরুষদের সন্মান ফিরিয়ে দিয়ে তবেই আমি ক্ষান্ত হবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ইলিয়াছ আযম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, কোষাধ্যাক্ষ খোদাবক্স, বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগের ৯ নংওয়ার্ডের সাধারন সম্পাদক আশাদুজ্জামান আশা, আওয়ামী নেতা জাকির হোসেন আলম লক্ষনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারা খাতুন, নিজামপুর ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বিপুল, উলাশি ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
Leave a Reply