বিএনপির জিয়াউর রহমান ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে ছাত্র রাজনীতি কলুষিত করে
—— মেয়র আশরাফুল আলম লিটন
আশানুর রহমান বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
শিক্ষা শান্তি প্রগতির ধারক ও বাহক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী স্থলবন্দর বেনাপোলে কেক কাটা, আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে পালন করে শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগ ও বেনাপোল পৌর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এসময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও বেনাপোল পৌর সভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম লিটন।
বেনাপোল পৌর আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি আছাদুজ্জামান তনির সভাপতিত্বে প্রধান অথিতি মেয়র লিটন বলেন, ১৯৭৫ সালের পরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে নিঃশ্বেষ এর জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করতে লাগল পাকিস্থানী প্রেতাত্নরা। বিএনপির জিয়াউর রহমান এর ছড়ানো অস্ত্রের ঝনঝনানিতে ছাত্র রাজনীতি অপরাজনীতিতে পরিণত হলো।জিয়াউর রহমান টাকার কোন সমস্যা নেই ছাত্রদের লোভ লালসা দিয়ে হাতে তুলে দেয় অস্ত্র। আর সেই অস্ত্রের ঝনঝনানিতে কলুষিত হয় ছাত্র রাজনীতি। আপনারা জানেন এদেশের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রে অবদান রেখেছেন ছাত্ররা। আর সেই ছাত্ররা ছিল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের। তারা কখনো অন্যায় অত্যাচার জুলুম করে নাই কোন মানুষের উপর। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের বিরুদ্ধে সকল লড়াই সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ঝাপিয়ে পড়েছে। এবং প্রতিটি জায়গায় তারা সফল হয়েছে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্ত ফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ছয়দফা দাবি, ১৯৬৯ সালের গনঅভ্যুত্থ্যান, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অবদান ছিল বাংলার এই দামাল ছাত্রলীগ এর কর্মীদের।
তবে জিয়াউর রহমান এর ছাত্রদলের অস্ত্রের ঝনঝনানিতে আমাদের পুর্বপুরুষরাও অনেকেই অনেকে পঙ্গুত্ব বরন করেছে। অনেকে জীবন দিয়ে চলে গেছেন। বঙ্গবন্ধু পল্টনের বিশাল জনসভার ভাষনে বলেছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাস ছাত্রলীগের ইতিহাস. ছাত্রলীগের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস। তিনি বলেছিলেন আমার ছাত্রলীগ মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের আহবানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে ছিলেন। প্রায় ১৮ হাজার ছাত্রলীগ নেতা কর্মী মুক্তিযুদ্ধে জীবন দিয়েছিলেন। তাই ছাত্রলীগ এর সকল নেতাকে হতে হবে আদর্শবান সংগঠক। কোন দাঙ্গা হাঙ্গামা করা যাবে না। পিতার বয়সী মানুষকে সন্মান করতে হবে। কোন অন্যায় অত্যাচার রাহাজানিতে জড়ানো যাবে না ছাত্রলীগের ।ঐতিহ্য ধরে রাখতে সৎ ও নিষ্ঠাবান হয়ে কাজ করতে হবে।
আলোচনা সভা ও কেককাটা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য আহসান উল্লাহ মাষ্টার, শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক আজিবর রহমান সন্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রুহুল কুদ্দুস ভুইয়া, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখ কোরবান আলী, বিশিষ্ট্য কবি ও সাহিত্যক এমদাদুল হক বকুল, সাবেক ছাত্র নেতা আছাদুজ্জামান হাই , শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সজল,সাংগঠনিক সম্পাদক দ্বিন ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রহমান, ছাত্র নেতা দুলক শরীফ, জীবন কুমার , সোহেল রানা, আলামিন রোকনুজ্জামান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আরিফুর রহমান।
মোঃ আনিছুর রহমান
Leave a Reply