ছবি: কাজী নওশাবা আহমেদ
বিনোদন প্রতিবেদক
ঢাকায় শুরু হয়েছে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের আসরে কাজী নওশাবা আহমেদ অভিনীত তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এ প্রসঙ্গে নওশাবা বলেন, ‘এজন্য অন্য রকম ভালো লাগা কাজ করছে। আমি এমনিতে খুব কম কাজ করি। মনের মতো গল্প ও চরিত্র না পেলে করি না। সেখানে দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে একসঙ্গে আমার তিন-তিনটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে, এটা তো অনেক বড় পাওয়া। ‘ছুরত’, ‘সম্পর্ক’ ও ‘দ্য স্যালভেশন অব ট্রি’ ছবিগুলো ২৩ জানুয়ারি ও ২৫ জানুয়ারিতে প্রদর্শিত হবে বলে জেনেছি।’
তিনি বলেন, ‘ছুরত’, এর আগে নেদারল্যান্ডস উৎসব, ম্যানহাটান উৎসব ও চীনের মাইক্রো চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছিল। ‘সম্পর্ক’ ও ‘দ্য স্যালভেশন অব ট্রি’ প্রদর্শিত হয়েছিল ভারতের কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে। পুরস্কারও পেয়েছিল। তবে আমি ওই সময়টাতে দেশে না থাকায় বিস্তারিত জানতে পারিনি।
চলচ্চিত্র তিনটির কোনটি কেমন এমন প্রশ্নে অভিনেত্রী বলেন, তিনটি চলচ্চিত্র যেন তিনটি কবিতা। ‘ছুরত’ একটি দর্শনের ওপর তৈরি হয়েছে। নির্মাতা গোলাম রাব্বানী নিজেই একজন কবি ও লেখক। তিনি মানুষের ভেতরের দর্শন নিয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন। এই যেমন আপনার সঙ্গে কথা বলছি, আপনি সাংবাদিক আর আমি অভিনেত্রী।
একটু পরে বাসায় গিয়ে আমার সন্তানের সঙ্গে যখন কথা বলব তখন আমি মা। আবার যখন এই আমিই একটি রিকশায় চড়ে কোথাও যাব তখন রিকশাওয়ালার কাছে আমি যাত্রী। এই যে একজন মানুষের এক দিনে এত চরিত্র ধারণ করতে হয় প্রতিটি মুহূর্তে, সেটাই ‘ছুরত’-এর মূল বক্তব্য। অন্যদিকে ‘সম্পর্ক’ ছবির গল্প একজন বাবা ও মেয়ের। বাবা হঠাৎ প্যারালাইজড হয়ে বিছানায় পড়ে। মেয়ে তখন বাবাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। অথচ এই বাবাই মেয়েটিকে কোলেপিঠে করে মানুষ করেছে। সম্পর্কটা কি তাহলে শুধু টাকার ওপর গড়ে ওঠে? এটাই তুলে ধরেছেন পরিচালক এম ডি রাশিদুল ইসলাম। আর ‘দ্য স্যালভেশন অব ট্রি’ ছবির গল্প গাছ ও মানুষের একের অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা নিয়ে। গাছ কেটে প্রকৃতি ধ্বংস করে দিন দিন মানুষ যে নিজের ক্ষতি ডেকে আনছে, সেটা তুলে ধরেছেন নির্মাতা ফুয়াদুজ্জামান ফুয়াদ। আমি খুব ভাগ্যবতী যে এমন তিনটি গল্পে কাজ করতে পেরেছি। আশা করছি, উৎসবের সবাই চলচ্চিত্র তিনটি পছন্দ করবেন।