নোয়াখালী প্রতিবেদক
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ঘরের সিঁধ কেটে মা ও নাবালিকা মেয়েকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার চর ওয়াপদা ইউনিয়নে ওই ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত নারীর বয়স আনুমানিক (৩০) ও মেয়ের বয়স (১২) । ওই নারীর স্বামী পেশায় দিনমজুর।
মঙ্গলবার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন চরজব্বর থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রাতে নারীর স্বামী বাড়ি ছিলেন না। গভীর রাতে সিঁধ কেটে তিন ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে। তাদের মধ্যে দুইজন মাকে এবং একজন মেয়ে ধর্ষণ করে। নারী ও তার মেয়ে তাদের চিনতে পেরেছেন। তাদের মধ্যে একজন সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা।
তবে ইউপি সদস্য ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই নারী কারো শিখিয়ে দেওয়া কথা বলছেন।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, নোয়াখালীর পুলিশ সুপার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নির্যাতিতা ও তার মেয়েকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ন্যাক্কারজনক এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে দেশব্যাপী ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। সোমবার বেলা ১২টার দিকে নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস ওই গণধর্ষণ মামলায় ১৬ আসামির ১০ জনকে মৃত্যুদন্ড ও ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডসহ অর্থদন্ড প্রদান করেন। ওইদিন রাতেই মায়ে-মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটলো।